প্রস্তুতি: বোলিং অনুশীলন করণ লালের। ফাইল চিত্র।
বিজয় হজারে ট্রফিতে সোমবার চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। দলে দু’টি পরিবর্তনের ইঙ্গিত। মুকেশ কুমারকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন বাঁ-হাতি পেসার রবি কুমার। অন্য দিকে আমির গনির জায়গায় খেলানো হতে পারে বিশাল ভাটিকে।
রাজকোটে সোমবার ব্যাটিং সহায়ক পিচেই হতে পারে ম্যাচ। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামে খেলা বাংলার। সেখানে বেশির ভাগ ম্যাচেই বড় রান ওঠে। বাংলা তাই এক জন বাঁ-হাতি পেসার দলে রাখতে চাইছে। রবির বল ডান হাতি ব্যাটসম্যানের ভেতরের দিকে আসে। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের আউটসুইং হয়। তাঁকে নতুন বলে কাজে লাগাতে চান কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
অন্য দিকে বিশাল বাঁ-হাতি স্পিনার। তিনি আর্ম বলও করতে পারেন। রান আটকানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন বিশাল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে চারটির উপরে শতরান রয়েছে তাঁর। অলরাউন্ডার হিসেবে বিশালকে খেলানো হতে পারে প্রথম একাদশে।
বাংলার প্রতিপক্ষ শেষ দু’টি ম্যাচই হেরেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হারের পরে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ২২৭ রানে হারে চণ্ডীগড়। বাংলার বিরুদ্ধে তাঁদের মরণ-বাঁচন ম্যাচ। ওপেনারেরাই শক্তি চণ্ডীগড়ের। অভিজ্ঞ মনন ভোহরা দলের অধিনায়ক। বাঁ-হাতি ওপেনার আর্সলান খানও খেলবেন। চোটের জন্য নাও খেলতে পারেন অভিজ্ঞ মিডিয়াম পেসার সন্দীপ শর্মা। তাঁর পরিবর্তে চণ্ডীগড় কাকেখেলায় সেটাই দেখার।
বাংলার ব্যাটিং বিভাগে উপরের সারিতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। অভিষেক পোড়েল ও অভিমন্যু ঈশ্বরনই ওপেন করবেন। তিন নম্বরে সুদীপ কুমার ঘরামি। চারে অনুষ্টুপ। তার পরে শাহবাজ় আহমেদ, সুমন্ত গুপ্ত। সাত নম্বরে করণ লাল। আট নম্বরে নামবেন বিশাল।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল মনে করেন, চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে তাঁর দল ঘুরে দাঁড়াবে। লক্ষ্মী বলছিলেন, ‘‘শেষ ম্যাচে খারাপ খেলেছি বলেই হেরেছি। ওই ম্যাচ হারার কোনও যুক্তি ছিল না। উইকেট ছুড়ে এলে তো জেতা সম্ভব নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘একটি ম্যাচ জেতার পরে দ্বিতীয়টিতে এত খারাপ ব্যাটিং আশা করিনি। প্রত্যেকেই ম্যাচ হেরে হতাশ। নিজেদের ভুলটা বুঝতে পেরেছে। ওরাও জানে এই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলে কত প্রশ্ন উঠবে। সুতরাং, ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যেকে মরিয়া। দলে দু’টি পরিবর্তন হতে পারে। সোমবার মাঠে গিয়ে পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
পুরনো ভিডিয়ো দেখে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বাংলার ক্রিকেটারেরা। লক্ষ্মীর কথায়, ‘‘জয়ের রাস্তায় ফেরার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুই করছে ক্রিকেটারেরা। মাঠে নেমে সেরাটা দিতে হবে। সকলেই জানে জিততে গেলে কী করা উচিত। ব্যাটসম্যানেরা আজ নেটে বাড়তি সময় ব্যাট করেছে। সকলেই ছন্দে ফিরতে মরিয়া।’’
বাংলা যদি চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে জিততে না পারে, এই প্রতিযোগিতায় ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। কারণ, বাংলার গ্রুপে উত্তরপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, কেরলের মতো দল রয়েছে। সোমবার কী হয় দেখার।