Naushad Khan

সরফরাজ়, মুশিরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওজন ঝরিয়েছেন তাঁদের বাবাও, কত কেজি কমিয়েছেন নৌশাদ?

দুই ছেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছ’মাসে ৩৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন নৌশাদ খান। ক্রিকেটের স্বার্থে ওজন কমিয়েছেন সরফরাজ় খান এবং মুশির খান। তাঁদের বাবা ওজন কমিয়েছেন শারীরিক সমস্যা সমাধানে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২৬
picture of cricket

(বাঁ দিক থেকে) সরফরাজ় খান, নৌশাদ খান এবং মুশির খান। —ফাইল চিত্র।

ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠত বার বার। ১৭ কেজি ওজন কমিয়ে অনেক ছিপছিপে হয়েছেন সরফরাজ় খান। তরুণ ব্যাটারের অধ্যাবসায়ে অনুপ্রাণিত তাঁর বাবা নৌশাদ খানও। হাঁটুর সমস্যার জন্য তিনিও ওজন কমাতে শুরু করেন। ছ’মাসে কমিয়ে ফেলেছেন ৩৮ কেজি।

Advertisement

বছরের শুরুতে দুই ছেলে সরফরাজ় এবং মুশির খানের ফিটনেস বৃদ্ধি নিয়ে কাজ শুরু করেন নৌশাদ। ওজন কমিয়ে ফিটনেস বৃদ্ধি করার জন্য দুই ছেলের খাদ্যতালিকা বদলে দেন তিনি। ভাত, রুটি সম্পূর্ণ বাদ দেন তালিকা থেকে। ছেলেদের সঙ্গে নিজেরও ফিটনেস বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন। নৌশাদ বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনেক পরিবর্তন করেছি। নিয়ন্ত্রণ করেছি। ভাত, রুটির মতো খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। প্রায় দেড় মাস আমরা বাড়িতে ভাত, রুটি খাইনি। পরিবর্তে আমরা গাজর, শসা, ব্রকলির মতো সবুজ শাক-সবজির স্যালাড খাওয়া শুরু করি। গ্রিল করা মাছ, মুরগির মাংস, সিদ্ধ করা মুরগির মাংস, ডিম খাই আমরা এখন। গ্রিন চা, কফি খাই। ফলের মধ্যে আমরা অ্যাভোকাডো খাই। অঙ্কুরিত ছোলাও আছে আমাদের খাদ্যতালিকায়। চিনি বা মিস্টি জাতীয় কোনও খাবার আমরা খাই না। ময়দা দিয়ে তৈরি কোনও খাবারও খাই না আমরা।’’

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিংও করছেন তাঁরা। কারণ শুধু ওজন কমানোই সব নয়। ফিটনেস বৃদ্ধিও প্রয়োজন। নৌশাদ বলেছেন, ‘‘দেড় মাসের মধ্যে সরফরাজ় প্রায় ১০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছিল। আরও ওজন কমানোর চেষ্টা করছে ও। আমার হাঁটুর সমস্যা রয়েছে। তাই আমিও ওজন কমানোর কথা ভাবি। আমার প্রায় ১২ কেজি ওজন কমেছিল। ওজন কমায় উপকৃত হয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘চিকিৎসক আমাকে হাঁটু প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে জন্য ওজন কমানোর কথা বলেন। আমি চিকিৎসকের কাছ থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে আগের থেকে অনেক ভাল আছি এখন।’’

ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছ’মাসে নিজের ৩৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন নৌশাদ। ছেলেদের জন্য আগের থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন