জসপ্রীত বুমরাহ। ছবি: পিটিআই।
দিনের শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৩৭। লোকেশ রাহুল ১৩ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ রানে খেলছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ১২২ রানে পিছিয়ে ভারত।
বিকাল ৪টে বাজতে না বাজতেই আলো কমতে শুরু করেছে ইডেনে। ক্রিকেটারদের ছায়া পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাট করা কঠিন। ফলে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুরু থেকেই মার্কো জানসেনের বল খেলতে সমস্যা হচ্ছিল যশস্বীর। সেই জানসেনের বলেই প্লেড অন হলেন তিনি। ১২ রানে আউট হলেন তিনি। ১৮ রানে ভারতের প্রথম উইকেট পড়ল।
শুরু থেকে যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলকে চাপে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারেরা। বল দু’দিকেই সুইং খেলছে। ফলে শট খেলা কঠিন। আপাতত শুধু ডিফেন্স করার পরিকল্পনা নিয়েছেন যশস্বী ও রাহুল।
চা বিরতির পর ৩ ওভার টিকল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ করে দিলেন বুমরাহ। ৫ উইকেট নিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা করল ১৫৯ রান।
বুমরাহের বলে বোল্ড হারমার (৫)। চতুর্থ উইকেট নিলেন বুমরাহ। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯/৯।
কর্বিন বশকে (৩) আউট করলেন অক্ষর। ১৫৪ রানে অষ্টম উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভেরেইনির পর মার্কো জানসেনকেও আউট করলেন সিরাজ। শূন্য রানে বোল্ড হলেন জানসেন। ১৪৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার সপ্তম উইকেট পড়ল।
নতুন বলে উইকেট না পেলেও বল পুরনো হওয়ার পর উইকেট নিলেন মহম্মদ সিরাজ। কাইল ভেরেইনিকে ১৬ রানের মাথায় ফেরালেন তিনি। ১৪৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ উইকেট পড়ল।
কুলদীপের পর পর দু’বলে দুই উইকেট পড়ল। প্রথম বলে খোঁচা মারেন ভেরেইনি। পন্থের গ্লাভসে লেগে স্লিপে যায় বল। কিন্তু শুভমন বলের কাছে পৌঁছোতে পারেননি। পরের বলেই সিলি পয়েন্টে ক্যাচ যায়। বল ধরেও ফেলেছিলেন ধ্রুব জুরেল। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি। হাত থেকে ছিটকে যায় বল।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছু ক্ষণের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্ধেক দল সাজঘরে। জসপ্রীত বুমরাহের বল ২৪ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন টনি ডি জর্জি। ১২০ রানে তাদের পঞ্চম উইকেট পড়েছে। বুমরাহ ৩ ও কুলদীপ ২ উইকেট নিয়েছেন।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধাক্কা দিলেন কুলদীপ। তাঁর বলে রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করেন উইয়ান মুল্ডার। বল মিস্ করেন তিনি। সোজা প্যাডে গিয়ে বল লাগে। আম্পায়ার আউট দেন। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি মুল্ডার। ২৪ রানে আউট হন তিনি। ১১৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার।
উইয়ান মুল্ডার ২২ ও টনি ডি জর্জি ১৫ রানে খেলছেন।
কুলদীপের বলে লেগ স্লিপে জুরেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৩)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৭১/৩।
পর পর দু’ওভারে দুই উইকেট নিলেন বুমরাহ। রায়ান রিকেলটনের পর আউট করলেন অপর ওপেনার এডেন মার্করামকেও। তাঁর বলের বাউন্স সামলাতে পারলেন না মার্করাম। ভাল ক্যাচ ধরলেন উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ। ৩১ রান করে আউট মার্করাম। ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধাক্কা দিলেন সেই জসপ্রীত বুমরাহ। রায়ান রিকেলটনকে ফেরালেন তিনি। গুড লেংথে পড়ে বুমরাহের বল হালকা বাইরের দিকে গেল। লাইন মিস্ করলেন রিকেলটন। বল গিয়ে লাগল অফ স্টাম্পে। ২৩ রান করে আউট রিকেলটন। ৫৭ রানে তাদের প্রথম উইকেট পড়ল।
ওভার প্রতি প্রায় ৬ রান রেটে খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। পেসারদের পর স্পিনারদের বিরুদ্ধেও হাত খুলছেন তাঁরা। ১০ ওভারের মধ্যে ৫০ রান পেরিয়ে গিয়েছে দলের।
পিচে অসমান বাউন্স থাকায় কয়েকটা বল সমস্যায় ফেলছে ব্য়াটারদের। কিন্তু সেই বাউন্স সামলে দলকে ভাল শুরু দিয়েছেন রায়ান রিকেলটন ও এডেন মার্করাম। দু’জনের মধ্যে রিকেলটন ভাল খেলছেন। ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে খেলছেন তিনি। প্রায় প্রতি ওভারে আসছে বড় শট।
গত কয়েক দিন ধরে বার বার চর্চা হয়েছে ইডেনের পিচ নিয়ে। গৌতম গম্ভীরেরাও খুশি ছিলেন না। খেলা শুরুর পর প্রথম ওভারেই দেখা গেল অসমান বাউন্স। জসপ্রীত বুমরাহের দ্বিতীয় বল পিচে পড়ে তিন ড্রপে উইকেটরক্ষকের কাছে গেল। পরের বল একই লেংথ থেকে বুকের উচ্চতায় উঠল। ফলে শুরুতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইডেনের পিচের চরিত্র নিয়ে।
এডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, উইয়ান মুল্ডার, টেম্বা বাভুমা, টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইনি, সাইমন হারমার, মার্কো জানসেন, কর্বিন বশ, কেশব মহারাজ।