Danish Kaneria

ক্রিকেটে ভারত-পাক সংঘাত চলছেই, জয়পুরের স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে দেওয়া হল পাক ক্রিকেটারের ছবি

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে দু’বার বোমাতঙ্কের হুমকি ইমেল পেয়েছিল জয়পুরের সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়াম। সেই মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানের ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়ার ছবি। কারণ অজানা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ২১:৩৫
cricket

দানিশ কানেরিয়া। — ফাইল চিত্র।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে দু’বার বোমাতঙ্কের হুমকি ইমেল পেয়েছিল জয়পুরের সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়াম। সেই মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দানিশ কানেরিয়ার ছবি। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ ওয়েব সাইট এই খবর প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারের ছবি কেন সরানো হয়েছে তার অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

Advertisement

পাকিস্তানের ক্রিকেটার কানেরিয়া ভারতের মাটিতে ছ’টি টেস্ট এবং দু’টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। তবে জয়পুরে কোনও দিন খেলেননি তিনি। কেন সেখানে তাঁর ছবি ছিল, কেনই বা সরানো হল তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর একাধিক বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কানেরিয়া। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে আক্রমণ করেছিলেন। কেন শরিফ পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দা করেননি তা জানতে চেয়েছিলেন।

সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “যদি পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের কোনও ভূমিকা না-ই থাকে, তা হলে কেন প্রধানমন্ত্রী শাহবা‌জ় শরিফ এখনও নিন্দা করলেন না? কেন আপনাদের সেনাবাহিনী হঠাৎই জেগে উঠেছে? আসলে ভিতরে ভিতরে আপনারা সত্যিটা জানেন— আপনারাই জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছেন এবং লালনপালন করছেন। লজ্জা হওয়া উচিত।”

পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যাকারী জঙ্গিদের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলেছিলেন পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দার। সেই মন্তব্যও মেনে নিতে পারেননি কানেরিয়া। তিনি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, “যখন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী জঙ্গিদের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলেন, তখন সেটা শুধু অসম্মানের নয়, এটা বুঝিয়ে দেয় রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে।”

এতেই শেষ নয়। পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার দায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর চাপিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কানেরিয়া। পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার বলেছিলেন, ‘‘আফ্রিদি সব সময় চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলে। আমার মতে আফ্রিদিকে ভারতীয় টেলিভিশন বা কোনও মঞ্চেই সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। এই আফ্রিদিই আমায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দেয়। আমার সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেতেও রাজি হয়নি। ওর আচরণ আমার অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছিল।’’

Advertisement
আরও পড়ুন