ম্যাচের পর ঋষভ পন্থ। ছবি: পিটিআই।
দলকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিলেন। তবে শতরান ফস্কালেন। মাত্র ১০ রানের জন্য শতরান করতে পারলেন না ঋষভ পন্থ। ভারত এ দলের জিততে অবশ্য অসুবিধা হল না। প্রথম চার দিনের টেস্টে তারা দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলকে হারিয়ে দিল তিন উইকেটে। দুই ম্যাচের সিরিজ়ে ভারত এ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার থেকে।
জয়ের জন্য ২৭৫ রান দরকার ছিল ভারতের। শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ১১৯ রান দিয়ে। দিনের শুরুতে আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে খেলতে শুরু করেন ঋষভ পন্থ এবং আয়ুষ বাদোনি। দিনের দ্বিতীয় বলেই ওকুহে সেলেকে ছয় মারেন পন্থ। তার পর এক হাতে চারে মারেন। দিনের প্রথম ওভারেই সেলে ১৪ রান হজম করেন। এতেই ম্যাচের অভিমুখ ঠিক হয়ে যায়। প্রতি ওভারে ছ’রান করে উঠতে থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা কৌশল বদলে ফেলে। তারা শর্ট বল করতে শুরু করে। সেই বলেই আউট হন পন্থ। তিয়ান ফান ভুরেনের বলে ব্যাটে ঠিক করে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ নেন লেসেগো সেনোকওয়ানে। তার আগে পন্থের একটি ক্যাচ ফেলেছিলেন তিনি।
যে ভাবে পন্থ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছেন এবং ম্যাচে ১৩৯.৩ ওভার কিপিং করেছেন, তা খুশি করবে নির্বাচকদের। দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ়ে তাঁকে নিতে আর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বাদোনিও ভাল খেলছিলেন। শেপো মেরাকির বলে দারুণ একটি ফ্লিক মেরেছিলেন। তবে ভুরেনের বাউন্সার খেলতে না পেরে আউট হন। তনুষ কোটিয়ান ৩০ বলে ২৩ রান করে ভালই ধরে ফেলেছিলেন। তিনি লুথো সিপামালার একটি বল সামলাতে না পেরে মধ্যাহ্নভোজের দু’ওভার পরে আউট হন।
প্রথম সেশনে ১০১ রান তোলে ভারত। তবে হারায় তিনটি উইকেট। জেতার জন্য তখনও ৫৯ রান দরকার ছিল। ফলে লোয়ার অর্ডারকে ভাল খেলতে হত। সেই কাজটাই করেন মানব সুতার এবং অংশুল কম্বোজ। মানব ২০ এবং কম্বোজ ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ভুরেনের একটি বল কম্বোজের হেলমেটে লাগে। তবু সাহসী ব্যাটিং করে যান। পরের দু’টি বলে ছয় এবং চার মেরে পাল্টা চাপে ফেলেন ভুরেনকে। শেষ পর্যন্ত জিতে যায় ভারত এ।