(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
নিয়ম ভাঙলেন বিরাট কোহলি! তা দেখেও নিজেকে বদলে ফেলা রোহিত শর্মা সংযত থাকলেন। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় জিতে ভারতীয় দল হোটেলে ফেরার পর ঘটল মজার ঘটনা। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ঘটনার ভিডিয়ো।
সিরিজ়জয়ী ভারতীয় দলকে স্বাগত জানাতে বিশাখাপত্তনমের হোটেল কর্তৃপক্ষ দু’টি কেক সাজিয়ে রেখেছিলেন। হোটেলের এক কর্মী সিরিজ়ের সেরা ক্রিকেটার কোহলিকে কেক কাটার অনুরোধ করেন। কোহলি এগিয়ে দেন শনিবার শতরান করা যশস্বী জয়সওয়ালকে। যশস্বী কেক কেটে কোহলিকে খাওয়ান। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলা কোহলি কেকের টুকরোয় বড় কামড় বসান। বাকি অংশটুকু নিয়ে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা রোহিতের কাছে যান যশস্বী। কিন্তু কেক দেখে দূরে সরে যান রোহিত। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘‘না না, আবার মোটা হয়ে যাব।’’ তাঁর কথা শুনে সকলে হেসে ফেলেন। যশস্বীও আর তাঁকে কেক খাওয়ার জন্য জোর করেননি।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ় খেলে ফেরার পর রোহিতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তাঁর ফিটনেস নিয়ে খুশি ছিলেন না ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর, প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। দল থেকে ছেঁটে ফেলার জন্য ফিটনেসকে হাতিয়ার করা হতে পারে আঁচ করেন রোহিত। তার পরই নিজেকে বদলে ফেলেছেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের কাছে কঠোর ট্রেনিং করেন। ব্যাটিংয়ের ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার পাশাপাশি ১১ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়েছেন। বদলে ফেলেছেন খাদ্যাভাস। ৩৮ বছরের রোহিত আগের চেয়ে অনেক ঝরঝরে।
২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে চান রোহিত। তাই ফিটনেস নিয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন তিনি। নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেন। তাই যশস্বীর এগিয়ে দেওয়া কেক খেতে রাজি হননি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ‘ফিটনেস ফ্রিক’ হিসাবে পরিচিত কোহলি। পছন্দ করেন নিয়ম মেনে চলতে। প্রিয় বহু কিছুও বাদ দিয়েছেন নিজের খাদ্যতালিকা থেকে। অথচ শনিবার তরুণ সতীর্থের এক অনুরোধেই কেক খেয়েছেন।