উৎসব: পাঁচ গোল করে ফাজ়িলা। রবিবার নেপালে। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।
সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ
ইস্টবেঙ্গল ৭ নাসরিন ০
প্রয়োজন ছিল ড্র। সেখানে সাততারা পারফরম্যান্স করে গ্রুপে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গলের প্রমীলাবাহিনী। দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের নাসরিন এসএর বিরুদ্ধে রবিবার ফাজ়িলা ইকওয়াপুট একাই পাঁচ গোল করলেন। তিন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহে এখন ৯ পয়েন্ট।
শনিবার ইস্টবেঙ্গলের কোচ অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজ় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলে পরিবর্তনের। প্রথম একাদশে সেই মতো কয়েকটি পরিবর্তনও হয়। দলের পরিবর্তনে ফাজ়িলারা যেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন। গোল উৎসবের সূচনা হয় ৭ মিনিটে। সরিতা ইউমনামের বাড়ানো লম্বা বল ধরে ১-০ করেন উগান্ডার স্ট্রাইকার। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও সেই একই জুটি। ডান দিক থেকে সরিতার নিখুঁত বাড়ানো বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে সঙ্গে নিয়েই দ্বিতীয় গোল করেন ফাজ়িলা। এর পরে আক্রমণের আরও ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। ৪৫ মিনিটে সুস্মিতা লেপচার ডিফেন্স চেরা থ্রু ধরে গোল করতে ভুল করেননি ফাজ়িলা। প্রতিযোগিতায় প্রথম বার হ্যাটট্রিকও করলেন তিনি। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান জ্যোতি চৌহান।
দ্বিতীয়ার্ধেও আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরেনি ইস্টবেঙ্গল। ৭৩ মিনিটে অধিনায়ক রেসটি নানজ়িরির বাড়ানো বল ধরে স্কোরশিটে নাম তোলেন সুলঞ্জনা রাউল। গোলরক্ষক এগিয়ে এলেও তাঁর কিছুই করার ছিল না। এক মিনিটের মধ্যেই নিজের চতুর্থ গোল করেন ফাজ়িলা। তার পরেই নেচে সেই গোলের উদ্যাপনে মাতেন ফাজ়িলা। এখানেই শেষ নয়। নাসরিনের গোলরক্ষক ইয়ারজ়ান বেগমের ভুলে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন ফাজ়িলা।
ম্যাচের পরে লাল-হলুদ কোচ অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজ় বলেছেন, “দল দুর্দান্ত খেলেছে। কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। পরের ম্যাচগুলিতেও একই দাপট বজায় রাখতে হবে।”
এ দিকে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অনূর্ধ্ব-১৮ এলিট যুব লিগের আঞ্চলিক পর্বে রবিবার ইস্টবেঙ্গল ২-০ হারিয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে। গোল করেছেন সাহিল খান ও জেমস চংলই।