Clash at Pakistan's football Match

পাকিস্তানের ফুটবল লিগে সেনার ম্যাচে সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েক জন ফুটবলার ও কর্তা, শুরু তদন্ত

পাকিস্তানে জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ঘটেছে এই ঘটনা। দু’দলের ফুটবলারেরা সংঘর্ষে জড়ান। ফলে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০৬
Footballers and officials injured after clash during football match in Karachi

খেলা চলাকালীন মাঠেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানের ফুটবলারেরা। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানে এ বার ফুটবল মাঠে ঝরল রক্ত। করাচিতে জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ঘটেছে এই ঘটনা। দু’দলের ফুটবলারেরা সংঘর্ষে জড়ান। ফলে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।

Advertisement

পাকিস্তান সেনা বনাম ডব্লিউএপিডিএ (ওয়াপডা) দলের খেলা ছিল। হাড্ডাহাড্ডি খেলায় জেতে সেনা। পেনাল্টি থেকে গোল করে তারা। সেই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ওয়াপডার ফুটবলারেরা। ফাইনালের বাঁশি বাজার পরে সেনার ফুটবলারেরা উল্লাস করছিলেন। সেটা পছন্দ হয়নি প্রতিপক্ষ দলের। ফলে ওয়াপডা দলের ফুটবলারেরা সেনার ফুটবলারদের দিকে তেড়ে যান।

প্রথমে কথা কাটাকাটি চলছিল। তার পর তা হাতাহাতিতে জড়ায়। ক্রমশ তা বাড়তেই থাকে। ফুটবলারদের পাশাপাশি দু’দলেক কর্তা ও প্রতিযোগিতার আয়োজকেরাও সংঘর্ষে ঢুকে পড়েন। লাথি, ঘুষি চলতে থাকে। ফলে বেশ কয়েক জন আহত হন।

জানা গিয়েছে, রেফারির উপরেও চড়াও হন ওয়াপডার ফুটবলারেরা। তাঁকে সাজঘর পর্যন্ত তাড়া করা হয়। সেখানেও সেনার কিছু ফুটবলার রেফারিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ফলে মাঠের পাশাপাশি সাজঘরেও সংঘর্ষ হয় দু’দলের ফুটবলারদের। মাঠের সংঘর্ষের ভিডিয়ো সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়। এতে আরও মুখ পুড়েছে পাকিস্তান ফুটবল সংস্থার।

এই ঘটনার পর কড়়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান ফুটবল সংস্থা। একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “পাকিস্তান ফুটবল সংস্থার এক কর্তা পুরো ঘটনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। পাকিস্তান অলিম্পিক্স সংস্থাকেও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব অলিম্পিক্স সংস্থার। তাই তারা ঘটনার তদন্ত করছে। ফুটবল সংস্থাও আলাদা করে তদন্ত করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন