Kalinga Super Cup

১০ জনের হায়দরাবাদকে কষ্ট করে হারাল মোহনবাগান, ডার্বির আগে চিন্তা বাড়ল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের

৮৭ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পরে একটি আত্মঘাতী গোল ও একটি পেনাল্টি থেকে গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ফলে জিতল সবুজ-মেরুন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০১
football

বার বার আটকে যেতে হল জেসন কামিন্সদের। টক্কর দিলেন হায়দরাবাদের দেশীয় ফুটবলাররা। ছবি: এক্স।

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কষ্ট করে জিতল মোহনবাগান। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পরে একটি আত্মঘাতী গোল ও একটি পেনাল্টি থেকে গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ফলে জিতল সবুজ-মেরুন। তবে গোটা ম্যাচ জুড়ে মোহনবাগান যে খেলা খেলল তা চিন্তা বাড়াচ্ছে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মনে। আগামী শুক্রবার বছরের প্রথম ডার্বি। তার আগে বাগানের খেলা মোটেই মন ভরাতে পারেনি।

Advertisement

দলের সাত ফুটবলার এশিয়ান কাপ খেলতে যাওয়ায় হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করতে হয়েছিল অন্তর্বর্তী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকে। রক্ষণে রাজ বাসফোর, আক্রমণে সুহেল ভাটরা প্রথম থেকে ছিলেন। কিন্তু খেলার শুরু থেকেই বোঝা গেল ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার কতটা অভাব। প্রথম ১০ মিনিট ছন্নছাড়া ফুটবল খেলল মোহনবাগান। আর সেটাই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেল হায়দরাবাদ।

৭ মিনিটের মাথায় একটি নিরীহ বল বাগান বক্সের দিকে যাচ্ছিল। দুই ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হামিল ও রাজ বলের কাছে ছিলেন। বল ধরার জন্য এগিয়ে আসছিলেন গোলরক্ষক অর্শ আনোয়ার। হঠাৎ হায়দরাবাদের লালচুংনুঙ্গা ছাংতেকে বলের কাছে দেখে ব্যাক পাস দেন হামিল। বক্সের মধ্যে সেই বল হাতে আটকালে কার্ড দেখতেন গোলরক্ষক। বলটি আনোয়ারের পায়ের কাছেও ছিল না। তিনি কী করবেন বুঝতে পারেননি। সেই সুযোগে ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন ছাংতে। পিছিয়ে পড়ে বাগান।

গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে খারাপ খেলেছে বাগান। রক্ষণের সঙ্গে মাঝমাঠ, মাঝমাঠের সঙ্গে আক্রমণ ভাগের বোঝাপড়া হচ্ছিল না। ফলে ভাল আক্রমণ তুলে আনতে পারছিল না তারা। আশিস রাই প্রান্ত ধরে কয়েক বার উঠলেও ঠিকানা লেখা ক্রস বাড়াতে পারেননি। অন্য দিকে বিদেশি-হীন হায়দরাবাদ অনেক ভাল খেলছিল। নিজেদের মধ্যে বলের দখল রেখে আক্রমণে উঠছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি তারা। বিরতির ঠিক আগে আশিসের ফ্রি কিক থেকে জেসন কামিন্সের হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। প্রথমার্ধে ওই একটিই ভাল আক্রমণ দেখা যায় সবুজ-মেরুনের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে খেলার ধরন বদলায় বাগান। প্রথমার্ধে প্রায় খুঁজে পাওয়া যায়নি কিয়ান নাসিরি, হুগো বুমোসদের। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি খেলায় ঢোকেন তাঁরা। কামিন্স ও দিমিত্রি পেত্রাতোসকেও ঝলমলে লাগছিল। তার ফলে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে বাগান। রাজ, কামিন্স ও পেত্রাতোস দূর থেকে গোল করা চেষ্টা করেন। তাঁদের শট ভাল বাঁচান হায়দরাবাদের গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনি।

৬০ মিনিটের পর থেকে প্রায় পুরো খেলা হচ্ছিল হায়দরাবাদ বক্সের কাছে। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারছিল না বাগান। তার মাঝেই প্রতি-আক্রমণ থেকে দু’বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। কিন্তু আনোয়ারের হাত বাগানকে খেলায় রাখে। সময় যত গড়াচ্ছিল তত চাপ বাড়ছিল বাগানের।

৮৩ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন হায়দরাবাদের অধিনায়ক নিম দোরজে। ১০ জন হয়ে যায় তারা। তার পরেই খেলায় ফেরে বাগান। ৮৭ মিনিটের মাথায় হেড করে বল বাইরে বার করতে গিয়ে নিজেদের গোলেই ঢুকিয়ে দেন হায়দরাবাদের জেরেমি। দু’মিনিট পরে বুমোসকে বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বাগান। গোল করেন পেত্রাতোস। বাকি সময়ে আর ফিরতে পারেনি হায়দরাবাদ। ভাল খেলেও হারতে হয় তাদের।

Advertisement
আরও পড়ুন