FIFA World Cup 2026

আগামী বিশ্বকাপের বল ‘ট্রাইওন্ডা’য় এআই প্রযুক্তি, কী সুবিধা হবে?

তিন দেশের ১৬টি শহরে হবে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি। একাধিক আবহাওয়া অঞ্চলে হবে ম্যাচগুলি। বিশ্বকাপের বল তৈরির সময় নির্মাতা সংস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়েছে এই বিষয়টির উপর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০৯
picture of football

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের বল। —ফাইল চিত্র।

আগামী ফুটবল বিশ্বকাপের বল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়েছে চার দিন আগে। বলটির নাম ‘ট্রাইওন্ডা’। বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে এই স্মার্ট বলের। অত্যাধুনিক সেন্সর চিপ ছাড়াও আগামী বিশ্বকাপের বলে ব্যবহার করা হয়েছে এআই প্রযুক্তি।

Advertisement

আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোর ১৬টি শহরে হবে ২০২৬ সালের ম্যাচগুলি। একাধিক আবহাওয়া অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলি। আগামী বিশ্বকাপের বল তৈরির সময় নির্মাতা সংস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়েছে এই বিষয়টির উপর। আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন মাঠে বলের আচরণ যাতে আলাদা না হয়, তা নিশ্চিত করেছেন প্রযুক্তিবিদেরা।

‘ট্রাইওন্ডা’য় রয়েছে চারটি প্যানেল। এর আগে আর কোনও বিশ্বকাপের বল এত কম প্যানেল দিয়ে তৈরি হয়নি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বলে ছিল ২০টি প্যানেল। চারটি প্যানেলের নিচে একটি পাতলা আস্তরণ রয়েছে। সেই আস্তরণে রয়েছে শক্তিশালী সেন্সর চিপ। যাতে সংরক্ষিত থাকবে ম্যাচের ‘রিয়েল টাইম’ তথ্য। এ বার যে সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে আরও উন্নত হবে ‘ভিএআর’ প্রযুক্তিও। অফসাইড, গোল বা হ্যান্ডবলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে সহজে এবং কম সময়ে। ‘ভিএআর’-এ সময়ও কম লাগবে আগের থেকে। চিপে ব্যবহার করা হয়েছে এআই প্রযুক্তিও। যা সিদ্ধান্তগুলিকে নিখুঁত হতে সাহায্য করবে।

বিশ্বকাপের বল এর আগে কখনও এত রংচঙে হয়নি। ‘ট্রাইওন্ডা’এ ব্যবহার করা হয়েছে লাল, নীল এবং সবুজ রং। নির্মাতা সংস্থার দাবি, পরিচ্ছন্ন ফুটবলের কথা মাথায় রেখে আগামী বিশ্বকাপের বলটি তৈরি করা হয়েছে। যা খেলার উত্তেজনা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন