India’s 3D Rocket

অগ্নিকুলের ‘অগ্নিবাণ’, সাত দিনে থ্রিডি রকেট বানিয়ে মহাকাশে বিপ্লব ঘটাল চেন্নাইয়ের স্টার্ট আপ সংস্থা

মহাকাশ গবেষণায় বিপ্লব ঘটিয়ে মাত্র সাত দিনে একটি থ্রিডি রকেট তৈরি করে হইচই ফেলে দিয়েছে চেন্নাইয়ের স্টার্ট আপ সংস্থা অগ্নিকুল কসমস প্রাইভেট লিমিটেড। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিতে একটানে একবারে বানানো যেতে পারে প্লাস্টিকের বোতল থেকে শুরু করে ধাতব ক্যামেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৭
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

মহাকাশ গবেষণায় ফের বিপ্লব ভারতের। এ বার থ্রিডি রকেট তৈরি করল চেন্নাইয়ের স্টার্ট আপ সংস্থা ‘অগ্নিকুল কসমস’। সংশ্লিষ্ট রকেটটির ইঞ্জিন সম্পূর্ণ ভাবে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে তারা। শুধু তা-ই নয়, গোটা প্রক্রিয়াটা একটানা একবারে শেষ করে নয়া নজির তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট স্টার্ট আপ। সেই কারণে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকেরা।

Advertisement

এখন প্রশ্ন হল, কী এই থ্রিডি প্রিন্টিং? সাদা কাগজে কোনও বিষয়বস্তুকে ছাপাতে গেলে ব্যবহার হয় কালি। থ্রিডি প্রিন্টারে সে সবের বালাই নেই। সেখানে কালির বদলে প্লাস্টিক, ধাতু বা অন্য যে কোনও জিনিস থাকতে পারে। তা ছাড়া কোনও কাগজ বা ক্যানভাস নয়, ছাপার নামে বাস্তবে একটা জিনিসকে গড়ে দেবে সংশ্লিষ্ট থ্রিডি প্রিন্টার। সেটা প্লাস্টিকের বোতল হতে পারে বা ক্যামেরা। সেই কারণে এই প্রযুক্তিতে আস্ত একটা রকেট তৈরি হওয়ায় দেশ পড়ে গিয়েছে হইচই।

সহজ কথায় থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের উদাহরণ দিতে গিয়ে বিশ্লেষকেরা টেনেছেন জন্মদিনের কেক তৈরির প্রসঙ্গ। একাধিক স্তরে বিভিন্ন রকমের ক্রিম ব্যবহার করে তৈরি করা হয় ওই ধরনের কেক। থ্রিডি প্রিন্টিংয়েও থাকে একই রকমের একাধিক লেয়ার। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মাত্র সাত দিনে সংশ্লিষ্ট রকেটটিকে তৈরি করে ফেলে ‘অগ্নিকুল কসমস’। প্রথাগত পদ্ধতি মেনে যা বানাতে সময় লাগে অন্তত এক থেকে দেড় মাস। অর্থাৎ, এই পদ্ধতিতে সময় এবং খরচ দুটোই বাঁচাতে পেরেছে ওই স্টার্ট আপ।

প্রযুক্তিবিদেরা কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি রকেটকে বেশি টেকসই বলে দাবি করেছেন। তাঁদের যুক্তি, এই পদ্ধতিতে আলাদা আলাদা করে রকেটের বিভিন্ন অংশকে জোড়া লাগাতে হচ্ছে না। সেই কারণে এতে ফাঁকফোঁকর বা লিকেজ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। মহাকাশ গবেষণায় প্রয়োজন অনুযায়ী রকেটের নকশা বদল করে থাকেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেখানেও সমান ভাবে কার্যকর থ্রিডি প্রিন্টিং। অর্থাৎ, নকশা বদল হলেও দ্রুত রকেট তৈরি করা যাবে এই প্রযুক্তিতে।

Advertisement
আরও পড়ুন