Smartphone Tips

ফ্ল্যাশ বা লেন্সের পাশে লেখা এইচ, গায়ে খোদাই জ়াইজ় বা লাইকা, ফোনের গায়ে কেন লেখা থাকে অদ্ভুত শব্দ?

স্মার্টফোন নিয়ে নাড়াঘাঁটা করলেই দেখা যাবে এর গায়ে লেখা আছে বেশ কিছু অদ্ভুত শব্দ। কেন সেগুলি লিখে দিচ্ছে নির্মাণকারী সংস্থা?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৩
Representative Picture

— প্রতীকী ছবি।

কখনও ফ্ল্যাশের উপর। কখনও আবার স্মার্টফোনের লেন্সের পাশে লেখা থাকছে ইংরেজি বর্ণমালার এইচ আদ্যক্ষরটি। ওয়ান প্লাস বা ওপোর মুঠোবন্দি ডিভাইসগুলি নিয়ে একটু নাড়াঘাঁটা করলেই সেটি চোখে পড়বে ব্যবহারকারীদের। কিন্তু কেন? গ্রাহকদের অনেকেরই প্রশ্ন, এটা কি কোনও নতুন ধরনের প্রতারণা? কী কারণে ফোন নির্মাণকারী সংস্থা ফ্ল্যাশ বা লেন্সের পাশে এইচ লিখছে, আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

Advertisement

তবে শুধু ওয়ান প্লাস বা ওপো নয়। বর্তমান সময়ে অন্যান্য চিনা সংস্থার ফোনের গায়েও নজরে পড়বে বেশ কিছু অদ্ভুত শব্দ। উদাহরণ হিসাবে ভিভোর কথা বলা যেতে পারে। এই মুঠোবন্দি ডিভাইসের গায়ে লেখা থাকে জ়াইজ়। শাওমির ফোনে আবার লাইকা শব্দটি দেখতে পাবেন ব্যবহারকারী। এগুলির প্রত্যেকটিই ক্যামেরার জগতের নামি-দামি সংস্থা। সংশ্লিষ্ট স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির সঙ্গে বিশেষ সমঝোতা থাকার কারণেই তাদের নাম খোদাই করা থাকছে মুঠোবন্দি ডিভাইসের গায়ে।

একই কথা স্মার্টফোনের সাউন্ড সিস্টেমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেমন টেকনোর ফোনের গায়ে লেখা থাকে হারমান বা পাওয়ার্ড বাই জেবিএল। কম বাজেটের বেশ কিছু ফোনের গায়েও সংশ্লিষ্ট অডিয়ো সংস্থাটির নাম আজকাল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এর মূল কারণ হল বাণিজ্যিক চমক। নিজেদের প্রচারের জন্যই ফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সমঝোতা করছে ক্যামেরা বা অডিয়ো কোম্পানি। সেই চুক্তির শর্ত মেনে স্মার্টফোনের গায়ে লেখা হচ্ছে তাদের নাম।

ভারতের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশই জ়াইজ়, লাইকা বা হারমানের মতো সংস্থার নাম জানেন না। মুঠোবন্দি ডিভাইস ব্যবহারের জেরে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির সঙ্গে পরিচয় ঘটছে তাদের। এ-হেন বিজ্ঞাপনের যথেষ্ট বাণিজ্যিক সুবিধা রয়েছে। অন্য দিকে ওই লোগোকে সামনে রেখে নিজেদের ক্যামেরা এবং অডিয়ো সিস্টেমকে সেরা বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থা।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, পছন্দের কোনও ব্যক্তি বা বস্তুর স্মার্টফোনে ফ্রেমবন্দি হওয়া মূলত দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সেগুলি হল, দুর্দান্ত সেন্সর এবং ভাল সফ্‌টঅয়্যার। চুক্তির শর্ত মেনে সংশ্লিষ্ট সফ্‌টঅয়্যারে ছবির রংকে আরও ভাল করে দেয় ওই সমস্ত ক্যামেরা কোম্পানি। সেখানে জুড়ে দেয় কালার টিউনিং বিশেষ ফিল্টার। এতেই মন ভাল করা ছবির স্বাদ পেয়ে যান গ্রাহক। এককথায়, ওয়ান প্লাস বা ভিভোর ফোনের ক্যামেরার পারফরম্যান্স ডিভাইসটিতে জ়াইজ় বা লাইকার সেন্সর থাকা বা না থাকার উপর নির্ভরশীল নয়।

Advertisement
আরও পড়ুন