Ajay-Kajals Goa Villa

তারকাদের মতো ছুটি কাটাতে চান? গোয়ায় অজয়-কাজলের বাংলো হতে পারে ঠিকানা, এক রাতের খরচ কত?

ব্যস্ততা নেই, কোলাহল নেই। শুধু আরাম করে ছুটি কাটানোর স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। গোয়ায় অজয় দেবগন এবং কাজলের বাংলোয় মিলবে এই সব সুযোগ-সুবিধা। তারকাদের মতো ছুটি কাটাতে গেলে কত খরচ করতে হবে?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ১২:২৪
গোয়ায় কাজল  এবং অজয় দেবগনের বাংলোয় থাকবেন?  সেই বাংলো কেমন, দেখে নিন একনজরে।

গোয়ায় কাজল এবং অজয় দেবগনের বাংলোয় থাকবেন? সেই বাংলো কেমন, দেখে নিন একনজরে। ছবি: সংগৃহীত।

ব্যস্ত জীবন থেকে একটু ফুরসত পেলেই বলিউডের তারকারা ছোটেন গোয়া। আরব সাগরের ঘন নীল জল, পশ্চিমঘাট পাহাড়ের সৌন্দর্যের আকর্ষণ আছেই। তবে তারকারা সেখানে যান দিন কয়েক একেবারে নিজের মতো কাটাতে। পরিবারের সকলে মিলে কিছুটা সময় একসঙ্গে উপভোগ করতে।

Advertisement

তবে কোনও হোটেল নয়, বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পছন্দ হল বাংলো। গোয়ায় ছুটি কাটানোর জন্য বহু তারকাই সেখানে বাংলো কিনেছেন, মনের মতো করে সাজিয়েওছেন। তেমনই কোনওটিতে থাকতে চান? তা হলে যেতে পারেন ‘ইটারনিয়া’-তে। উত্তর গোয়ার মোরিয়া গ্রামে গাছগাছালি ঘেরা স্থানে রয়েছে সেই বাংলো।

বাংলোর অন্দরসজ্জা। শোয়ার ঘর।

বাংলোর অন্দরসজ্জা। শোয়ার ঘর। ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি সেই বাংলোর অন্দরের ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই স্পষ্ট, এই বাংলো তৈরি হয়েছে ব্যস্ত জীবন থেকে সময় বার করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে নির্জনে ছুটি উপভোগের জন্য।

পতুর্গিজ স্থাপত্যরীতিতে তৈরি বাংলোয় সুবিলাশ সুইমিং পুলটি বেশ নজরকাড়া। বহু বাংলোতেই সুইমিংপুল থাকে পিছনের দিকে, খানিক আড়ালে। এখানে তেমন নয়। বরং বাংলোর সুইমিংপুলটিই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পাঁচটি ঘর, বিশাল খাওয়ার ঘর, পাক খাওয়া সিঁড়ি নিয়ে সেজে উঠেছে বাংলোটি। সর্বত্রই রুচির ছাপ স্পষ্ট।

বাংলোর শুরুতেই সুইমিং পুল।

বাংলোর শুরুতেই সুইমিং পুল।

সবুজ বাগান

বাংলো ঘিরে রেখেছে যত্নে সাজানো বাগান। কেয়ারি করা বাগিচায় নানা রকম ফুল গাছের পাশাপাশি বড় বড় গাছও রয়েছে। ঘাসের গালিচায় রূপ আরও খুলেছে। এই লন বা উন্মুক্ত আঙিনায় আরাম করার সব ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আরামদায়ক চেয়ার। প্রয়োজনে সেখানেই হতে পারে খাওয়ার ব্যবস্থাও। এখানে পাখির ডাক সঙ্গী হতে পারে। কোলাহলবর্জিত স্থানে গোপনীয়তার কোনও অভাব হবে না কোনও সময়েই।

ঘরের বৈচিত্র

বিশাল একটি বসার ঘর রয়েছে ভিতরে।

বিশাল একটি বসার ঘর রয়েছে ভিতরে।

ছোট-বড় মিলিয়ে খান পাঁচেক ঘর রয়েছে বাংলোয়। অ্যান্টিক ফার্নিচার, চড়া রঙের ব্যবহার নেই। বরং সর্বত্রই রয়েছে পরিপাট্য। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটাই। আরামের সঙ্গে কোনও রকম আপস করতে হবে না এখানে। সেই দিকে যথেষ্ট খেয়াল রেখেছেন অজয়-কাজল। হালকা রঙের সোফা, কাঠের বিছানায় সেজে উঠেছে অন্দরমহল। দেওয়ালের রং, পর্দা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র সবই খুব ভাবনাচিন্তা করে সাজানো। অজয় এবং কাজলের পছন্দ করা ছবি, ঘর সাজানোর জিনিস রয়েছে নানা স্থানে। কোনও কোনও দেওয়াল সেজেছে নায়ক-নায়িকার ছবিতে। রয়েছে শৌখিন ঝাড়বাতি। অনেক ঘর থেকে সুইমিং পুল দেখা যায়। কোনও কোনও ঘরের জানলা দিয়ে দৃশ্যমান সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো বাগান।

স্নানঘর

স্নানঘরের আয়না। বাংলোর নানা জায়গায় রয়েছে ঝাড়বাতি।

স্নানঘরের আয়না। বাংলোর নানা জায়গায় রয়েছে ঝাড়বাতি। ছবি: সংগৃহীত।

স্নানঘরটিও বাংলোর সঙ্গে বেশ মানানসই। আলো এবং আয়নার সঠিক ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে। আধুনিক সমস্ত কিছুই সেখানে রয়েছে। আরামের সমস্ত বন্দোবস্তই পাকা।

খাবার

সুন্দর রান্নাঘর রয়েছে। সেখানে বাসনপত্রও আছে। রান্না করে নেওয়া যায়। তবে রন্ধনশিল্পীও রয়েছেন। পছন্দের খাবার বললে, তিনিও রেঁধে দেবেন।

খাবার টেবিলটিও বিশাল। একসঙ্গে অনেকে বসতে পারবেন।

খাবার টেবিলটিও বিশাল। একসঙ্গে অনেকে বসতে পারবেন। ছবি: সংগৃহীত।

বাইরের বসার জায়গা

বাংলোর বাগানচত্বরে ছোট্ট একটি কাচের ঘরের মতো তৈরি করে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে বার। সোফা, চেয়ার, টেবিল, গালিচা দিয়ে স্থানটি যত্নে সাজানো। আড্ডা মারার জন্য এই স্থান আদর্শ।

এক রাতের খরচ

তারকাদের বাংলোটি ভাড়া দেয় একটি বড় হোটেল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। হোটেল বুকিং সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, এখানে থাকার এক রাতের খরচ প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

Advertisement
আরও পড়ুন