ট্রেন সফরে কেন সঙ্গে নেবেন ছাতুর পরোটা? ছবি: সংগৃহীত।
লম্বা ট্রেন সফরে কখনও না কখনও চোখে পড়েছে কারও স্টিলের কৌটো থেকে বার করে হচ্ছে পরোটা। সঙ্গে আচার। তবে এই খাবার সঙ্গে নিতে ঠিক বাঙালিরা অভ্যস্ত নন, বরং অবাঙালিদের মধ্যেই ছাতুর পরোটা সঙ্গে নিয়ে লম্বা যাত্রা করার চল বেশি। ট্রেন যাত্রায় বাঙালিদের খাদ্যতালিকায় বেশির ভাগ সময়ে থাকে লুচি, আলুভাজা, ডিম, কেক, মিষ্টি জাতীয় খাবার। তবে লম্বা সফরে কোন খাবার ভাল, কোনটি নিয়ে যাওয়া চলে, তা নিয়ে আলোচনা বিস্তর। যুগের সঙ্গে বদলেছে মানুষের রুচি, পছন্দ। জুড়েছে নিত্যনতুন অনেক পদই। তবে অবাঙালিদের পছন্দের ছাতুর পরোটা হতে পারে আপনারও ট্রেন সফরের আদর্শ খাবার। তার কারণও আছে।
কেন ট্রেন সফরে সঙ্গে নেবেন ছাতুর পরোটা?
১। ছাতুর পরোটা হোক বা পুর ছাড়া বাঙালিদের ত্রিকোণ পরোটা, তেলে ভাজা বা ঘিয়ে সেঁকা পরোটা গরমেও ২-৩ দিন ভাল থাকে। পচে যাওয়ার ভয় নেই। অনেক সময় লম্বা সফরে ট্রেন দেরিও করে। ফলে, এই খাবার মজুত রাখা সহজ হয়।
২। গরম পরোটা আর ঠান্ডা পরোটার স্বাদে তফাত হয় ঠিকই। তবে তা সত্ত্বেও সেটি খেতে অসুবিধা হয় না। বরং ছাতুর পরোটার স্বাদ সময় গেলে আরও বাড়ে বলে মনে করেন অনেকে।
৩। পরোটার সঙ্গে তরকারির দরকার হয় না। ছোট্ট কৌটোয় পছন্দের চাটনি হলেই যথেষ্ট। লম্বা সফরে বাড়তি জিনিসপত্র যেমন নেওয়া ঝক্কির, তেমনই তরকারির তেল বা কাই পড়ে মাখামাখি হলে সে-ও এক সমস্যা। বদলে শুকনো ছাতুর পরোটা ঝক্কিহীন। কৌটোয় নিন বা ফয়েল পেপারে মু়ড়ে নিন, প্যাকিং করা সহজ।
৪। ছাতু প্রোটিনে ভরপুর। এতে ফাইবারও মেলে। একটু বেশি পুর ভরে বড় করে ছাতুর পরোটা বানালে, একটি খেলেই পেট ভরে যাবে। ফলে ট্রেনে ভাজাভুজি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রবণতা কমাতে চাইলে, কিংবা হাতের কাছে টাটকা ভাল খাবার না পেলে, পরোটা দিয়েই দিন চালিয়ে নেওয়া যায়।
৫। আমের আচার, রসুনের আচার কিংবা ধনে-পুদিনার চাটনি—যে কোনও জিনিসের সঙ্গেই পরোটা খাওয়া যায়। বানানোও খুব কঠিন কিছু নয়।
ফলে যে খাবার হবে পুষ্টিকর, সহজে নষ্ট হবে না এমন সব শর্তই পূরণ করে ছাতুর পরোটা।