bizarre

ভারতীয়দের অপছন্দ, রাগে ঘুষি মেরে ভারতীয় নার্সের মুখের হাড় ভাঙলেন রোগী! জেলবন্দি তরুণ

পামস ওয়েস্ট হাসপাতালের একটি ঘরে একা পেয়ে ৬৭ বছর বয়সি লীলাম্মা লালের উপর আচমকা চড়াও হন ৩৩ বছর বয়সি স্টিফেন স্ক্যান্টলবারি নামে এক রোগী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৬
patient attacked an Indian-origin nurse

—প্রতীকী ছবি।

ভারতীয় বলে ঘৃণা, সেই আক্রোশ থেকে এক বৃদ্ধা নার্সকে ঘুষি মেরে মুখ ফাটিয়ে দিলেন এক রোগী। ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লরিডার একটি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালে কর্মরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নার্সের উপর এক জন মানসিক রোগী নৃশংস ভাবে আক্রমণ করেন বলে সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর। গত সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। পামস ওয়েস্ট হাসপাতালের একটি ঘরে একা পেয়ে ৬৭ বছর বয়সি লীলাম্মা লালের উপর আচমকা চড়াও হন ৩৩ বছর বয়সি স্টিফেন স্ক্যান্টলবারি নামে এক রোগী। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লীলাম্মা পামস ওয়েস্ট হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত। ঘটনার দিন তিনি স্ক্যান্টলবারির ঘরে গিয়ে তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। হঠাৎই তাঁকে ঘুষি মারতে শুরু করেন স্ক্যান্টলবারি। এর ফলে লীলাম্মার মুখের হাড় ভেঙে যায়। এর পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান স্ক্যান্টলবারি।

পাম বিচ কাউন্টি শেরিফের অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্ক্যান্টলবারির আক্রমণে লীলাম্মা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মানসিক রোগগ্রস্ত বলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তরুণ। পুলিশ আদালতে জানায় আক্রান্ত নার্সের মুখের প্রতিটি হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং তাঁর দু’টি চোখ এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অভিযুক্ত শেরিফের অফিসে কবুল করেছেন, ‘‘আমার ধারণা ভারতীয়েরা খারাপ। তাই আমি এক জন ভারতীয় নার্সের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি।’’

একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন ৫৭ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভূত নার্স আছাম্মা চেরিয়ান। ম্যানচেস্টারের রয়েল ওল্ডহ্যাম হাসপাতালের অ্যাকিউট মেডিকেল ইউনিটে কর্মরত অবস্থায় এক জন রোগী কাঁচি দিয়ে তাঁকে আঘাত করেছিলেন।

Advertisement
আরও পড়ুন