viral video

স্বামী, সন্তানকে সাক্ষী রেখে ভাইপোকে বিয়ে করলেন কাকিমা! বিয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল

স্বামী, সন্তান ও পরিবারের অন্য আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে ভাইপোর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন গৃহবধূ। দু’বছর ধরে শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয় সচিন দুবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বিহারের বাসিন্দা আয়ুশী কুমারীর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১১:১৫
woman married her nephew in front of her husband

ছবি: সংগৃহীত।

কাকার সামনেই কাকিমার সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন ভাইপো। বিহারের জামুইয়ের ঘটনার। মেয়ে ও স্বামীর সামনে শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়কে বিয়ে করলেন আয়ুশী কুমারী নামের এক তরুণী। ২০ জুন স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই বিয়ের সাক্ষী থাকলেন তরুণীর স্বামী, সন্তান ও পরিবারের অন্য আত্মীয়স্বজনেরা। বিয়ের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে জামুই জেলার শিখেরিয়া গ্রামে। ২০২১ সালে এই গ্রামেরই এক তরুণ বিশাল দুবের সঙ্গে আয়ুশীর বিয়ে হয়। এই দম্পতির তিন বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বেশ কয়েক ধরে আয়ুশীর সঙ্গে তাঁরই শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয় সচিন দুবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। সচিন সম্পর্কে আয়ুশীর দূরসম্পর্কের ভাসুর বা দেওরের ছেলে। প্রেমিক যুগলের আলাপ প্রথমে সমাজমাধ্যমে শুরু হয়। পরে সেই সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। তাঁদের আচরণ নিয়ে পরিবারের কেউই সন্দেহ করেননি।

ঘটনা জানাজানি হয় ১৫ জুন। ১৫ জুন আয়ুশী সচিনের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বামী জানতে পারেন। তরুণীর স্বামী বিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। আয়ুশী শীঘ্রই জামুই আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং তাঁর মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে অস্বীকৃত হন। শুক্রবার ২০ জুন সন্ধ্যায়, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আয়ুশী গ্রামের একটি মন্দিরে সচিনকে বিয়ে করেন। বিবাহ সম্পন্ন হলে সচিন জানান, তাঁরা দু’বছর ধরে প্রেম করেছেন। এখন সেই সম্পর্কের একটা নাম দেওয়া হল। আয়ুশীকে চিরকাল খুশি রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

আয়ুশীর বিয়ে নিয়ে বিশাল বলেন, “যদি এই বিয়েতে আয়ুশী খুশি থাকে, তা হলে আমি তাকে আটকাব না। কিন্তু ও আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি করেছে সেগুলি মিথ্যা। ও আমার মা আর মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত।’’ ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। এক জন লিখেছেন ‘‘মিঞা-বিবি রাজি যখন, তা হলে আর কে কী করবে? আইনেও বাধা নেই।’’

Advertisement
আরও পড়ুন