Viral Video

কথা দিয়েছিলেন, বন্ধুর শবযাত্রায় ব্যান্ড বাজিয়ে নাচলেন প্রৌঢ়! ভিডিয়ো দেখে কান্নায় চোখ ভিজল নেটাগরিকদের

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরের জাওয়াশিয়া গ্রামে সোহনলাল জৈন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোহনলাল এবং সেই গ্রামেরই বাসিন্দা অম্বালাল প্রজাপত ছিলেন হরিহর আত্মা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৩৯
Video shows middle aged man dancing in Friend’s Funeral in Madhya Pradesh

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

বন্ধুকে কথা দিয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুতে শোকপালন করবেন না। বরং আনন্দফূর্তি করবেন। করলেনও তাই। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে গানবাজনা বাজিয়ে দেদার নাচলেন এক প্রৌঢ়। আর সেই দৃশ্য দেখে কান্নায় চোখ ভিজল নেটাগরিকদের। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরের জাওয়াশিয়া গ্রামে। সম্প্রতি সেই গ্রামের বাসিন্দা সোহনলাল জৈনের মৃত্যু হয়েছে। একই গ্রামের বাসিন্দা অম্বালাল প্রজাপত ছিলেন হরিহর আত্মা। বেঁচে থাকার সময় সোহনলাল বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে যেন শোকপালন না করা হয়। শবযাত্রা যেন নিয়ে যাওয়া হয় গান বাজিয়ে উল্লাস করতে করতে।

সেই কথা রেখেছেন অম্বালাল। সোহনলালের মৃত্যুর পর গানবাজনা বাজিয়ে শবদেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। ঢোলও আনানো হয়। আর সেই গানের তালে নাচতে নাচতে বন্ধুর শবযাত্রায় শামিল হতে দেখা যায় অম্বালালকে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।

ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি রাস্তা দিয়ে শবযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে। গম্ভীর মুখে দেহ নিয়ে যাচ্ছেন আত্মীয়-পরিজনেরা। শবযাত্রার ঠিক আগে আগে ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছেন একদল মানুষ। মাইকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গান বাজছে মাইকে। আর সেই গানের তালে তালে নাচছেন লাল গেঞ্জি পরা এক প্রৌঢ়। তিনিই শবযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রৌঢ়কে দেখতে রাস্তায় ভিড় জমে গিয়েছে।

ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘জিতেন্দ্র প্রতাপ সিংহ’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের একাংশ জানিয়েছেন, ভিডিয়োটি দেখে চোখে জল এসেছে তাঁদের। কেউ কেউ আবার বন্ধুকে দেওয়া কথা রাখার জন্য প্রৌঢ়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘কথা রেখেছেন প্রৌঢ়। ঠিক যেমন বন্ধুকে কথা দিয়েছিলেন। এখনকার যুব সমাজের এই ভিডিয়ো দেখে শেখা উচিত।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘সত্যিকারের বন্ধু। প্রৌঢ়ের হাসির নীচে কত কান্না লুকিয়ে আছে। আমারও কান্না পাচ্ছে ভিডিয়োটি দেখে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন