ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জামাকাপড়ের রঙের সঙ্গে বদলে যায় চোখের মণির রং! এমনই এক ‘বিস্ময় বালকের’ খোঁজ মিলল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। দেড় বছরের ওই শিশুটির নাম আরশ। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, আরশের চোখের মণির রং সময়ে সময়ে বদলে যায়। তার পোশাকের যা রং হয়, চোখের মণির রংও তেমনই হয়ে যায়। ভিডিয়োয় বালকের চোখের মণির রং বদলাতেও দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। সমাজমাধ্যমে হইচইও ফেলেছে ভিডিয়োটি। নেটাগরিকদের অনেকেই ভিডিয়ো দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ভিডিয়োটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে, ‘ভিডিয়োনেশন ডট টেব’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কী ভাবে জামাকাপড়ের রঙের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে একটি শিশুর চোখের রং। ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, ওই বালকের নাম আরশ। দেড় বছর বয়সি শিশুটি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা। আরশের ওই ভাবে চোখের মণির রং বদলানোর বিষয়টিকে ‘বিরল’ বলেও দাবি করা হয়েছে ভিডিয়োয়। আরশের মা নাজ়রিনও দাবি করেছেন যে, তাঁর সন্তান যে রঙের পোশাক পরে, তার মণির রংও সে ভাবেই পরিবর্তিত হয়। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, পুরো বিষয়টিই দৃষ্টিভ্রম।
ভিডিয়োটি অনলাইনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে হতবাক নেটাগরিকদের একাংশ। তবে বিষয়টি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে বিতর্কও শুরু হয়েছে। নেটাগরিকদের অনেকের দাবি, এই ভাবে চোখের মণির রং বদলানো বিরল, তবে অস্বাভাবিক নয়। অনেকে আবার দাবি করেছেন, আলো এবং মণির প্রসারণের উপর নির্ভর করে মণির রং বদলাতে পারে। ভিডিয়োটি এআই বা কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে তৈরি বলেও অনেকে দাবি করেছেন। এক নেটাগরিক ভিডিয়ো দেখে লিখেছেন, “আমার দিদিমার চোখের মণির রংও এ ভাবে বদলে যায়। এটা নিছক একটা মায়া।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘এটা হতে পারে? নিছকই বোকা বোকা দাবি। চোখের রং এ ভাবে বদলাতে পারে না।”