—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
টিয়া পাখি ধরার অপরাধে এক ব্যক্তিকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। সম্প্রতি বারাসত জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শৈবাল দত্ত এই সাজা শোনান। ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ১৯৭২’ আইনে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
জেলা বন দফতর সূত্রের খবর, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর দুই প্রজাতির ১০টি টিয়াপাখি নিয়ে গুমা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় বাপি মজুমদার নামে এক জনকে। পুলিশের দাবি, এর আগেও বেশ কয়েক বার তাকে পাখি-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। আগে রেহাই পেলেও এ বার তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে বন দফতরের বারাসত ডিভিশন। অভিযুক্ত দশ বার জামিনের আবেদন করলেও প্রতিবারই নাকচ করে আদালত। প্রায় ১৯০ দিন জেল হেফাজতে থাকে সে।
এর মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে ৫ জুলাই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। উত্তর ২৪ পরগনার ডিএফও অভিজিৎ কর বলেন, ‘‘এই রায় দক্ষিণবঙ্গে নজির তৈরি করল। গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭২ মোতাবেক সাজা ঘোষণা হয়নি। এই রায়ের ফলে মানুষ আরও সচেতন হবেন।’’
বারাসত আদালতের সরকারি আইনজীবী এ জামান বলেন, ‘‘বহু জায়গায় টিয়া পাখি বিক্রি হচ্ছে। তাল ও নারকেল গাছের সংখ্যা শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র কমেছে। ফলে বিলুপ্তির পথে এই প্রজাতির পাখি। আদালতের এই রায় পাখিশিকারী ও বিক্রেতাদের সচেতন করবে।’’