—প্রতীকী চিত্র।
নৈহাটির গৌরীপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, তিনি তৃণমূলের কর্মী। দলের অনেকেই এর নেপথ্যে গোষ্ঠী কোন্দলকে দুষছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিধায়ক সনৎ দে মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে মারধর করা হয়েছে প্রিন্স যাদব নামে এক যুবককে। এলাকায় উত্তেজনা থামাতে পৌঁছোয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। নজরদারি রাখছে শিবদাসপুর, জেঠিয়া এবং নৈহাটি থানার পুলিশ। আহত প্রিন্সের দাদা নীতেশ যাদব বলেন, ‘‘চার-পাঁচ জন মেরেছে আমার ভাইকে। যেটা করেছে ভাল করেনি। ভোদু, অনুপ যাদব ছিল দলে। প্রশাসন বুঝবে।’’ তিনি আরও জানান, প্রিন্স বৃহস্পতিবার মন্দিরে পুজো দিয়ে বাইকে চেপে ফিরছিলেন। তখন বাইক থামিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়।
পুরপ্রধান অশোক বলেন, ‘‘ওখানে দলের একটা কার্যালয় রয়েছে। আমরা জানিয়েছি পুলিশকে। বিধায়কও জানেন। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না হয় দেখব।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্কলহের ঘটনা ঘটেছে হয়তো। যদি তা হয়, দল কঠোর হাতে দমন করবে। দৃষ্কৃতীদের তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় না।’’
যদিও এই অন্তর্কলহের তত্ত্ব মানতে নারাজ বিধায়ক সনৎ। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি এখানকার নয়। প্রিন্স হাজিনগরের কোথাও থাকে। এর আগেও ওঁকে মারধর করা হয়েছিল বলে শুনেছি। কেন মারধর করে জানি না। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। অশোকদা কোন সেন্সে বলেছেন জানি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে গন্ডগোলের যোগ নেই। আমার সঙ্গে পুরপ্রধানের কথা হয়নি। তৃণমূল রাজনৈতিক দল। এ সবে প্রশ্রয় দেয় না। সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছি। দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেব।’’
তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজু যাদব বলেন, ‘‘জঘন্য ঘটনা। আমি শুনলাম। তবে বিস্তারিত জানি না। কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলছি। প্রশাসকে অনুরোধ করব, এই ঘটনার তদন্ত হোক। কেউ কাউকে মারবে কেন? প্রশাসন রয়েছে। আইন নিজের হাতে কেন নেবে?’’