(বাঁ দিকে) শাহজাহান শেখ। (ডান দিকে) সাক্ষী ভোলা ঘোষ। পিছনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। — ফাইল চিত্র।
পরিকল্পনা করে জেলবন্দি শেখ শাহজাহান তাঁকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা ভোলানাথ ঘোষ। ইডি-সিবিআইয়ের মামলার অন্যতম ওই সাক্ষী পুলিশের কাছে শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী তসলিমা বিবি-সহ আট জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তও চালাচ্ছে পুলিশ। এ বার ভোলানাথের বিরুদ্ধে পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন শাহজাহানের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন।
এতদিন শাহজাহানের পরিবারের কেউ এ নিয়ে মুখ না খুললেও সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে সাবিনার অভিযোগ, “বাবা যাতে জেল থেকে বেরোতে না পারে, সেই চক্রান্ত করছেন ভোলানাথ ঘোষ। বার বার বয়ান বদলাচ্ছেন। দুর্ঘটনার দিন বলেছিলেন, তিনি গাড়ির পিছনের আসনে ছিলেন। পরে জানান, সামনের আসনে ছিলেন। বাবা নাকি জেল থেকে মাকে ফোনে দুর্ঘটনা ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল! মায়ের ফোন যাচাই করা হোক।”
কিন্তু কেন ভোলনাথ চক্রান্ত করতে যাবেন? সাবিনার দাবি, “বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন উনি। টাকা নয়ছয় করে একসময় নিজেই সপরিবারে এলাকা ছেড়ে চলে যান। বাবা ওঁর থেকে ৭৮ লক্ষ টাকা পাবে। এ নিয়ে বাবা ওঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করেছিল। ওই টাকা যাতে ফেরত দিতে না হয়, সে জন্য এ সব বলছেন।” তবে সাবিনা এখনও এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হননি। তিনি বলেন, “পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করব কি না, ঠিক করব।”
অভিযোগ উড়িয়ে ভোলানাথের দাবি, শাহজাহানের অত্যাচারেই তিনি ২০২০ সালে এলাকা ছাড়েন। তার আগে তিনি শাহজাহানের সঙ্গে যৌথ ভাবে বাগদা চিংড়ির ব্যবসা করতেন। সেই ব্যবসার টাকার ভাগ শাহজাহান আত্মসাৎ করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ ভোলানাথের। তাঁর দাবি, “আমিই শাহজাহানের কাছ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা পাব।”