Congress

‘বিজেপি চায় দিদি, দিদি চায় বিজেপি’! অনুপ্রবেশ-প্রশ্নে মমতার দিকে আঙুল তুললেন অধীর

অধীরের অভিযোগ, এক সময়ে মমতাই অনুপ্রবেশ নিয়ে সংসদের ভিতরে আন্দোলন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় ‘এনআরসি’ প্রশ্নে তৎকালীন বিজেপি সরকারের পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ২২:২৫
Adhir Chowdhury targeted Mamata Banerjee from a meeting in Kaliganj on Monday over infiltration

অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

অনুপ্রবেশ-প্রশ্নে সোমবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মমতার দিকেই ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে এ বার আঙুল তুললেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী। নদিয়ার কালীগঞ্জে ‘শহিদ স্মরণ’ সভা থেকে মমতা-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুললেন। বললেন, ‘‘বিজেপি চায় দিদিকে, আর দিদি চায় বিজেপিকে!’’

Advertisement

সোমবার কালীগঞ্জের সভা থেকে অধীরের অভিযোগ, ‘‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চায় (নরেন্দ্র) মোদীকে। আর মোদী চায় দিদিকে।’’ সামনের বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। একুশের সমাবেশের মঞ্চ থেকে সেই নির্বাচনে তৃণমূলের সুর বেঁধে দিয়েছেন মমতা। মঞ্চ থেকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ বারের নির্বাচনে লড়াই হবে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে! মমতার হুঁশিয়ারি, বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিলে তিনি ঘেরাও কর্মসূচি করবেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গও। মমতার সেই বক্তব্যের জবাবে অধীর দাবি করেন, ‘‘ভোট আসবে, এনআরসির গল্প আসবে। ভোট এলে পরিযায়ী শ্রমিকের নাম করে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা হবে।’’

এখানেই থেমে থাকেননি বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, এক সময়ে মমতাই এই অনুপ্রবেশ নিয়ে সংসদের ভিতরে আন্দোলন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় ‘এনআরসি’ প্রশ্নে তৎকালীন বিজেপি সরকারের পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অন্যতম সদস্য অধীরের কথায়, ‘‘আজকের মুখ্যমন্ত্রী এক দিন সংসদে অনুপ্রবেশকারীদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে হবে বলে আন্দোলন করেছিলেন। ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার যখন এনআরসিকে নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে অনর্ভুক্ত করেছিল, তখন মমতা ছিলেন বিজেপির পাশে। সেই সময় তিনি চুপ ছিলেন।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও মনে করিয়ে দেন, সেই সময় বিজেপির এই ‘এনআরসি’ করা নিয়ে রাজ্যসভায় প্রতিবাদ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।

বিধান ভবনে কংগ্রেসের ‘শহিদ স্মরণ’।

বিধান ভবনে কংগ্রেসের ‘শহিদ স্মরণ’। — সংগৃহীত।

বাম জমানায় তৎকালীন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী মমতার নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলি চলেছিল। সেই ঘটনায় নিহত ১৩ জনকে সোমবার কলকাতার বিধান ভবনে শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, যুবনেতা অর্ঘ্য গণ, রাজা শেখ এবং জারিয়াতুল হোসেন প্রমুখ।

Advertisement
আরও পড়ুন