— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সম্প্রতি মানব পাচার মামলায় সক্রিয় হয়েছে ইডি। কলকাতার একাধিক ব্যবসায়ী এবং ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ বার ওই মামলায় নাম জড়ানো আজমল সিদ্দিকিকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন আজমল। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন নথিপত্রও।
অভিযুক্ত আজমল তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন বলে দাবি। মঙ্গলবার সকালে নথি নিয়ে ইডির দফতরে গিয়েছেন তিনি। মানব পাচারের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেআইনি লেনদেনের বিষয়ে জানতে তাঁর ব্যাঙ্কের নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মামলার তদন্তে গত ৭ নভেম্বর কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে নানা জিনিসপত্র, বেশ কিছু বৈদ্যুতিন ডিভাইস এবং সম্পত্তির নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জগজিৎ সিংহ, আজমল, বিষ্ণু মুন্দ্রা এবং তাঁদের সহযোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। সব মিলিয়ে নগদ ১ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়। সঙ্গে দু’টি বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এ বার ওই মামলাতেই আজমলকে তলব করা হয়েছে।
মানব পাচারের মামলাটি পুরনো। কয়েক বছর আগে বাগুইআটির একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই মামলার এফআইআর দায়ের হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুসন্ধানের পর মামলার তদন্তভার হাতে নেয় ইডি। তবে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় চলতি বছরের নভেম্বরে। সূত্রের খবর, ওই মামলায় নাগেরবাজারের এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং সল্টলেকের অভিযুক্ত তিন ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন। তাঁদের বাড়িতেই তল্লাশি চালানো হয়।
২০১৫ সালে অভিযোগটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। জগজিতের একাধিক পানশালায় হানা দিয়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভাবী পরিবারের মেয়েদের চাকরির টোপ দিয়ে কলকাতায় এনে নিউটাউনের বিভিন্ন ভাড়া করা ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হত। তার পর তাঁদের বাধ্য করা হত পানশালায় নাচতে। শুধু তা-ই নয়, জোর করে তাঁদের যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করানো হত বলেও দাবি।