Bengal Recruitment Case

নিয়োগ মামলা: ‘কাকু’কে চাকরি বিক্রির কোটি কোটি দিয়েছিলেন! আদালতে হাজিরা দিলেন সেই চিনু

সিবিআইয়ের দেওয়া শেষ চার্জশিটে দাবি করা হয়, বিভিন্ন জেলায় চিনুর ‘এজেন্ট’ ছিলেন। তাঁরা চিনুর হয়ে টাকা তুলতেন। শুধু প্রাথমিক নয়, এসএসসি প্রার্থীদের থেকেও টাকা তুলতেন ‘এজেন্ট’রা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৫৩
Arun Hazra appear in court, CBI demand he acted as mediator in primary recruitment case

(বাঁ দিকে) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ এবং অরুণ হাজরা ওরফে চিনু (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।

বহু টালবাহানার পর সিবিআই আদালতে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘সহযোগী’ হিসাবে চিহ্নিত বিজেপি নেতা অরুণ হাজরা। এই মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে নাম রয়েছে অরুণ ওরফে চিনুর। মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন তিনি। সিবিআই চার্জশিটে আগেই দাবি করেছিল, চাকরি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা চিনু সুজয়কৃষ্ণকে তুলে দিয়েছিলেন!

Advertisement

মঙ্গলবার বিচার ভবন আদালতে হাজিরা দেন চিনু। বিচারক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, চিনুর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় চিনু ‘মধ্যস্থতাকারী’ হিসাবে কাজ করেছেন! কী ভাবে তিনি কাজ করতেন, তার ব্যাখ্যা চার্জশিটে দিয়েছিল সিবিআই।

সিবিআইয়ের দেওয়া শেষ চার্জশিটে দাবি করা হয়, বিভিন্ন জেলায় চিনুর ‘এজেন্ট’ ছিল। তাঁরা চিনুর হয়ে টাকা তুলতেন। শুধু প্রাথমিক নয়, এসএসসি প্রার্থীদের থেকেও টাকা তুলতেন ‘এজেন্ট’রা। সিবিআইয়ের দাবি, সেই টাকা চিনু তুলে দিতেন ‘কাকু’র হাতে। সিবিআই চার্জশিটে আরও দাবি করেছিল, চাকরি বিক্রি করে তিনি ৭৮ কোটি টাকা তুলেছিলেন। মঙ্গলবার বিচারক এই মামলার তদন্তকারী অফিসার এবং কেস ডায়েরির খোঁজ করেছিলেন। তবে আদালতে চিনুর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে সুজয়কে দিয়েছিলেন চিনু। তার ভিত্তিতেই আদালত তাঁকে তলব করেছিল। গত সপ্তাহে শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল চিনুর। কিন্তু তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার কারণে হাজিরা দিতে পারেননি তাঁর মক্কেল। তবে বিচারক শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো হাজিরা দেন অরুণ।

Advertisement
আরও পড়ুন