Lottery Case

জাল লটারি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক, ফের বর্ধমান থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করল রাজ্যের সিআইডি

রবিবার ধৃত লালন এবং রাজকুমারকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে জাল লটারির কারবারের বিষয়ে বিশদে জানতে লালনকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সিআইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:০৭
arrest

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জাল লটারি কাণ্ডে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। ধৃতের নাম লালন শাহ ওরফে মহম্মদ নুরুল ইসলাম। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার দক্ষিণসুরা গ্রামের পীরতলা এলাকায় তাঁর বাড়ি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের হেফাজতে থাকা রাজকুমার ঢালি ওরফে রাজুকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডির একটি টিম শনিবার রাতে লালনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে ২৯টি ভুটান রাজ্য লটারির জাল টিকিট উদ্ধার হয়েছে।

রবিবার ধৃত লালন এবং রাজকুমারকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে জাল লটারির কারবারের বিষয়ে বিশদে জানতে লালনকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সিআইডি। শেষমেশ ধৃতকে দু’দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন করে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে রাজকুমারের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

সিআইডি সূত্রে খবর, গত ৩ ডিসেম্বর পূর্ব বর্ধমানের রায়না বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার তেলিহাটিতে তাঁর আদি বাড়ি। বর্তমানে রায়না বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকেন। অভিযুক্তের কাছ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক জাল লটারির টিকিট, নগদ টাকা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছিল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে রায়না থানার পুলিশ। ঘটনাক্রমে গত ৪ ডিসেম্বর রাজকুমারকে আদালতে পেশ করে দু’দিনের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে সিআইডির কাছে যায়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা রাজকুমারকে আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিক। পরে আদালতে হাজির করিয়ে তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল লটারি বিক্রির চক্রে লালনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন