RG Kar Financial Irregularities

ডিভিশন বেঞ্চে সন্দীপদের স্বস্তি, ‘দ্রুত বিচার করে মামলা কবরে পাঠাতে চাই না’, মন্তব্য হাই কোর্টের

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জ গঠনের প্রক্রিয়ার গতি কমানোর জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষরা। তাঁদের সময় দিতে হবে, জানাল আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৬
কলকাতা হাই কোর্টে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন সন্দীপ ঘোষ এবং অন্য অভিযুক্তেরা।

কলকাতা হাই কোর্টে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন সন্দীপ ঘোষ এবং অন্য অভিযুক্তেরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে কিছুটা স্বস্তি পেলেন সন্দীপ ঘোষেরা। আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় চার্জ গঠনের আগে তাঁদের সময় দিতে হবে, জানাল আদালত। দ্রুত বিচার করে এই মামলাকে ‘কবরে’ পাঠাতে চান না, জানিয়েছেন বিচারপতিরা। শুক্রবার হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে। চার্জ গঠনের সময় নিয়ে তখনই সিদ্ধান্ত হবে। আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতেও বৃহস্পতিবার আরজি করের দুর্নীতি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ শুনে বিচারক জানিয়েছে, শুক্রবার এই শুনানি হবে।

Advertisement

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ-সহ একাধিক নাম রয়েছে। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জ গঠন করতে হবে সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়ার গতি কমানোর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সন্দীপেরা। সিঙ্গল বেঞ্চে পর পর দু’বার সেই আর্জি খারিজ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মামলা গিয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে। তাঁরা সিবিআইয়ের চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘অভিযুক্তকে সুযোগ না দিয়ে দ্রুত বিচার করে মামলা কবরে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি চাই না।’’ গত ১ ফেব্রুয়ারি নথি দিয়েছিল সিবিআই। তিন দিনের মধ্যে তারা চার্জ গঠন করতে চাইল কেন? প্রশ্ন তোলে আদালত।

বিচারপতি বাগচীর পর্যবেক্ষণ, নতুন আইন অনুযায়ী চার্জশিট জমা দেওয়ার পর চার্জ গঠনের আগে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় পাওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে সেই সময় দেওয়া হচ্ছে না। বিচারপতি বলেন, ‘‘এই আদালত বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা চায় না। প্রয়োজনে আলিপুর আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালাবে হাই কোর্ট।’’ মৌখিক ভাবে বিচারপতি জানিয়েছেন, অন্তত ১৪ দিন সময় দিতে হবে অভিযুক্তদের। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা চার্জশিট পড়ে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানাতে পারবেন। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার আবার শুনানি হতে পারে। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী, যে কোনও অভিযুক্তের মামলা থেকে নিষ্কৃতি এবং অব্যাহতি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। সিবিআই জানাক চার্জ গঠন হলে ওই অধিকার তাঁরা কবে পাবেন।’’

সিবিআই এবং মামলাকারীর আইনজীবীরা পরস্পরের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। শুক্রবার এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি রয়েছে হাই কোর্টে। কবে চার্জগঠন হবে, তা শুক্রবার উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থির করা হতে পারে।

অন্য দিকে, আলিপুর আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন সন্দীপরা। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ বৃহস্পতিবার সেখানে জানানো হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, শুক্রবার শুনানি হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন