CISCE

ছাত্রছাত্রীদের মনের যত্ন নিতে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর রাখবে সিআইএসসিই বোর্ড

জানা গিয়েছে, সিআইএসসিই বোর্ডের অধীন স্কুলগুলির বেশির ভাগের এত দিন ধরে নিজস্ব কাউন্সেলর ছিলেন না। সপ্তাহে এক বা দু’দিন কোনওএক জন বা দু’জন কাউন্সেলর স্কুলে এসে পড়ুয়াদের প্রয়োজন মতো কাউন্সেলিং করতেন। কিছু কিছু স্কুলে মনস্তত্ত্ব বিষয় পড়ানোর শিক্ষক থাকলেও তাঁরা আবার পেশাদার কাউন্সেলর নন।

আর্যভট্ট খান
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৫০

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্কুলপড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত কাউন্সেলিংয়ের দল তৈরি করছে সিআইএসসিই বোর্ড। বোর্ড নিজের খরচে নির্বাচিত কাউন্সেলরদেরসাত মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেবে। যে স্কুলের যখন কোনও পড়ুয়ার মনোবিদের প্রয়োজন হবে, তখন ওই প্রশিক্ষিত কাউন্সেলরদের থেকে কোনও এক জনস্কুলে গিয়ে পড়ুয়ার কাউন্সেলিং করবেন। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য এই সিদ্ধান্ত বোর্ডের। দেখা গিয়েছে, আজকের দিনে পড়ুয়াদের নানা কারণে অবসাদ তৈরি হয়। বোর্ডের প্রশিক্ষিত কাউন্সেলরেরসাহায্যে সেই অবসাদ দূর করতে এমন প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছেন সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জোসেফ ইমানুয়েল।

জানা গিয়েছে, সিআইএসসিই বোর্ডের অধীন স্কুলগুলির বেশির ভাগের এত দিন ধরে নিজস্ব কাউন্সেলর ছিলেন না। সপ্তাহে এক বা দু’দিন কোনওএক জন বা দু’জন কাউন্সেলর স্কুলে এসে পড়ুয়াদের প্রয়োজন মতো কাউন্সেলিং করতেন। কিছু কিছু স্কুলে মনস্তত্ত্ব বিষয় পড়ানোর শিক্ষক থাকলেও তাঁরা আবার পেশাদার কাউন্সেলর নন। ফলে এখন বোর্ডের বিশেষপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউন্সেলর থাকলে, পড়ুয়াদের খুবই উপকারহবে বলে মনে করছেন স্কুলের শিক্ষকেরা।

যাঁরা যাঁরা এই প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাঁদের কাছ থেকেআবেদনপত্র গ্রহণ করছে সিআইএসসিই বোর্ড। তবে একটি শর্ত, যাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাঁদের সিআইএসসিই বোর্ডেরঅধীনে চাকরি করতে হবে। বোর্ড জানিয়েছে, বাইরের কোনও কাউন্সেলরকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে না। বোর্ডের অধীন স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা এইপ্রশিক্ষণ নিতে পারবেন, তবে তাঁর সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। অথবা সাইকোলজিতে স্নাতক ডিগ্রিধারী কোনও শিক্ষক থাকলে তার পাঁচ বছরের কাউন্সেলিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ওই পদের জন্য এরকম আরও কিছু যোগ্যতার মাপকাঠি আছে বলে জানিয়েছে বোর্ড। আবেদন গ্রহণের পর্ব শুরু হয়েছে। যার শেষ তারিখ আগামী ৬জানুয়ারি। আবেদনের পরে ইন্টারভিউ হয়ে প্রথমে ১০০ বা তার থেকে কিছু বেশি কয়েক জনকেপ্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হবে। এর পর সাত মাস ধরেতাঁদের সেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বোর্ডের এই উদ্যোগ খুবই ভাল বলে মনে করছেন সিআইএসসিই বোর্ডের অধ্যক্ষেরা।ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে সাইকোলজিতে এক জনস্নাতকোত্তর শিক্ষিকা আছেন। উনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন। আজকের দিনে নানা কারণে পড়ুয়াদের মধ্যেঅবসাদ তৈরি হয়। ওরা খেলাধুলো করে না বললেই চলে। যৌথ পরিবারও নেই। নিউক্লিয়র পরিবারে বড়় হওয়া এক জন পড়ুয়া অনেক সময় একাকিত্বে ভোগে, তাদের অবসাদ জন্মায়। সমাজমাধ্যমেমগ্ন থাকে এখনকার পড়ুয়ারা। নরম মনে সেখান থেকেও নানা ভাবে অবসাদ তৈরি হয়।বোর্ডের প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর থাকলে সে সব সামলাতে অনেক সুবিধা হবে।’’

রামমোহন মিশন হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাসবলেন, ‘‘আজকের দিনে মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ এই দিকটা অনেক সময়েইঅবহেলা করা হয়। বোর্ডের নির্বাচিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউন্সেলর থাকলে পড়ুয়ারা আরও বেশি এবং দ্রুত উপকৃত হবে।’’

আরও পড়ুন