বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআরের কাজ চলছে। —ফাইল চিত্র।
এসআইআরের কাজে ইতিমধ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। এ ছাড়া জেলার জন্য ১২ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা নেওয়া হয়েছে। সোমবার আরও পাঁচ জন ডিভিশনাল পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন।
এই রাজ্যেই কেন এত পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হচ্ছে কমিশনকে? কমিশন মনে করছে, এসআইআরের কাজে এ রাজ্যে অনেক ডিইও (জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার) এবং ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-র ভূমিকা সদর্থক নয়। তাই তাঁদের কাজের উপর নজরদারি করতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত মাসে জেলা প্রশাসনগুলির সূত্রে দু’টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য মিলেছিল— প্রথমত, অনুপস্থিত, ঠিকানা বদল, মৃত এবং ডুপ্লিকেট (এএসডিডি)—এমন প্রায় লক্ষাধিক ফর্ম গ্রহণ করা হলেও সেগুলি ফেলে রাখা হয়েছে। এখনও করা হয়নি ডিজিটাইজ়। দ্বিতীয়ত, অনেক জায়গায় কমিশনের বিধি ভেঙে তথ্য ডিজিটাইজ় করার কাজ গিয়েছে বেসরকারি হাতে। তাতে বহু তথ্যের গরমিল ধরা পড়ছে।
জেলাগুলি থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরে কমিশন জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছিল, এসআইআর-এ এতদিন ধরে হওয়ার কাজের পূর্ণাঙ্গ যাচাই করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা। করতে পারবেন যে কোনও নমুনার যাচাই। মিলিয়ে দেখতে পারবেন বিএলও-দের নথিবদ্ধ করা তথ্যও। এর পরেই বিশেষ রোল পর্যবেক্ষক হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ করেছে কমিশন। তিনি গোটা রাজ্যের এসআইআর-কাজের গুণমান যাচাইয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সহযোগী আরও ১২ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক।