Voter List Controversy

বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি নির্বাচন কমিশনের! সময় দেওয়া হল ৭২ ঘণ্টা

ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার নির্দেশ দিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ১৮:০০
Election Commission sent letter to Chief Secretary of West Bengal over suspension of 2 EROs and 2 AEROs

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ পালন করা হয়নি। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে মনে করিয়ে আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। বস্তুত, এ বিষয়ে সময় বেঁধে দিয়ে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে আগামী সোমবার (১১ অগস্ট) বিকেল ৩টের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।

Advertisement

ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার কথা জানিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ওই চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা ইআরও) এবং দু’জন ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা এইআরও)।

কিন্তু এর পরে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেবেন না তিনি। বলেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি। তা সত্ত্বেও কমিশন অতিসক্রিয়। এখন থেকেই সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে। নাম না করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ‘বিজেপির বন্ডেড লেবার (ক্রীতদাস)’ বলেও আক্রমণ করেন তিনি। অভিযোগ করেন, রাজ্যের সরকারি অফিসার এবং পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নাম না করে নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘হাতের পুতুল’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। সেই সঙ্গে কমিশনের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকার কাজ যাঁদের তত্ত্বাবধানে চলছিল, সেই দু’জন ইআরও রাজ্য ক্যাডারের (ডব্লিউবিসিএস) অফিসার। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement
আরও পড়ুন