Madhyamgram Murder

এজলাসে অসুস্থ আরতি, জামিনের আর্জি উড়িয়ে ট্রলিকাণ্ডে মা-মেয়েকে জেলে পাঠাল আদালত

ট্রলিকাণ্ডে অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করে জানান, আরতি অসুস্থ। তাঁর ডায়বিটিস এবং রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়টি বিচারককে বিবেচনা করার আর্জি জানান আইনজীবী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪০
(বাঁ দিকে) ফাল্গুনী ঘোষ। আরতি ঘোষ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ফাল্গুনী ঘোষ। আরতি ঘোষ (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

মধ্যমগ্রামের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। ১৩ মার্চ পর্যন্ত জেলে থাকবেন তাঁরা। দুই অভিযুক্তের হয়ে অন্তত আট জন আইনজীবী বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। আরতি অসুস্থ বলেও জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত।

Advertisement

ট্রলিকাণ্ডে অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করে বৃহস্পতিবার জানান, প্রৌঢ় আরতি অসুস্থ। তাঁর ডায়বিটিস এবং রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। আরতিকে ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি বিচারককে বিবেচনা করার আর্জি জানান আইনজীবীরা। শুনানি চলাকালীন অসুস্থও হয়ে পড়েন আরতি। দুই অভিযুক্তের আইনজীবীদের আরও দাবি, যে ট্রলি ব্যাগ থেকে সুমিতা ঘোষের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার চাবি মা-মেয়ের কাছে ছিল না। সুতরাং তাঁদের জামিন দেওয়া হোক।

সরকার পক্ষের আইনজীবী শান্তময় বসু দাবি করেন, মধ্যমগ্রামের খুনের ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। মা এবং মেয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করবেন ভবিষ্যতে। শেষ পর্যন্ত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

মঙ্গলবার সকালে কুমোরটুলি ঘাটের কাছে ধরা পড়েন অভিযুক্ত ফাল্গুনী এবং তাঁর মা আরতি। তাঁদের কাছে একটি ট্রলি ব্যাগ ছিল। তার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলা ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সুমিতা। অভিযোগ, মধ্যমগ্রামের ভাড়া বাড়িতে তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিতে ভরেছিলেন মা এবং মেয়ে। তার পরে ট্যাক্সিতে চেপে ট্রলিটি নিয়ে এসেছিলেন কুমোরটুলি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে গঙ্গায় ট্রলি ভাসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যান।

বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। কলকাতা পুলিশকে এই সংক্রান্ত কেস ডায়েরি মধ্যমগ্রাম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যে হেতু অভিযুক্তেরা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এবং মূল ঘটনাও সেখানে ঘটেছে, তাই তদন্তভার মধ্যমগ্রাম থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন