রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস! ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে ন’টি জেলা, চলবে কত দিন?
আগামী কয়েক ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ফলে আগামী ছ’ঘণ্টা সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ওই সময়ে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ১০:২৪
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পর পর কয়েক দিন ঝড়বৃষ্টির পর বুধবার থেকেই আবহাওয়ার মতিগতি পাল্টেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার আকাশে মেঘ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সর্বত্র বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কমবেশি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ন’টি জেলায়।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বুধবারই পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে সরে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি অক্ষরেখা দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বরাবর বিস্তৃত। সে কারণে বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। মূলত উপকূল ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্রবার ওই জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর,ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি চলতে পারে রবিবার পর্যন্ত।
আলিপুর আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ফলে আগামী ছ’ঘণ্টা সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ওই সময়ে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। শনিবার ওই জেলাগুলির পাশাপাশি দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বেড়েছে। দিনে দু’-এক পশলা ঝড়বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রায় স্বাভাবিক। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি কম।
