— প্রতীকী চিত্র।
বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের জেরে সাত বছর আগে স্ত্রী ও নাবালক সন্তানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পরিবারের তিন সদস্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক পীযূষকান্তি রায় দোষীদের সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন স্বামী দীপক মণ্ডল, ভাসুর ধর্মরাজ মণ্ডল এবং জা চন্দনা মণ্ডল।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে মগরা থানার বাসিন্দা দীপকের সঙ্গে পাণ্ডুয়ার বৈঁচির বেবি মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের দুই সন্তানও হয়। কিন্তু তার মধ্যেই বেবি জানতে পারেন, তাঁর মেজো জায়ের সঙ্গে দীপকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে। সেই নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। এমনকি, বেবিকে শ্বশুরবাড়িতে মারধরের অভিযোগও ওঠে। এই অশান্তির জেরে সাত বছর আগে দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন নাবালক দুই সন্তানকে নিয়ে গায়ে আগুন দেন বেবি। স্থানীয়েরা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে বেবি ও এক সন্তানের মৃত্যু হয়। একজন বেঁচে যায়। ওই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। দীর্ঘ সাত বছর ওই মামলা চলে।
এ বিষয়ে চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মামলায় মোট ২৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আদালত ন্যায় বিচার দিয়েছে। পুলিশ ও আদালত দারুণ কাজ করেছে। মেয়ের হত্যার বিচার পেয়ে খুশি মৃতার পরিবার।”