Mamata Banerjee on Murshidabad

যাঁরা আছেন, গিয়ে তাঁদের সঙ্গেই কথা বলব, কেউ ক্ষতিপূরণ না নিলে কিছু করার নেই, মুর্শিদাবাদে গেলেন মমতা

সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। আগেই ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে তাঁর সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ১২:৪০
photo of Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বেলায় ডুমুরজোলা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন তিনি। বহরমপুরে পৌঁছোন দুপুরে। কপ্টারে ওঠার আগে জানান, মুর্শিদাবাদে গিয়ে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। কেউ ক্ষতিপূরণের টাকা না-নিলে তাঁর কিছু করার নেই।

Advertisement

গত মাসে স‌ংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতির মতো এলাকায়। অশান্তিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেও তা নিতে অস্বীকার করেছিলেন নিহত পিতা-পুত্র হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের পরিবারের সদস্যেরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত ছিল। আমরা তা দিতেই যাচ্ছিলাম। কেউ টাকা না নিতে চাইলে সেটা তো আমাদের হাতে নেই।’’

উল্লেখ্য, হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবারের সদস্যেরা এখন মুর্শিদাবাদে নেই। তাঁরা কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগরে আছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই ঘটনায় হাই কোর্টে তাঁরা মামলা করতে চান, সেই কারণে কলকাতায় এসেছেন। এর নেপথ্যে বিজেপির হাত আছে বলে শাসকদলের অনেকের অভিযোগ। মমতা বলেন, ‘‘আমি এখন বহরমপুরে যাচ্ছি। সেখানে একটা প্রশাসনিক বৈঠক হবে। সেখান থেকে কাল ধুলিয়ানে যাব। আমি জানি, ওখান থেকে সকলকে নিয়ে চলে এসেছে। সে নিক। যাঁরা আছেন, আমি তাঁদের সঙ্গেই কথা বলব। তাঁদের কথা শুনব। বাড়ি করে দেব। যাঁদের দোকান ভেঙেছে, তাঁদের সাহায্য করব।’’ ধুলিয়ান থেকে সুতি হয়ে বুধবার কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

মুর্শিদাবাদে অশান্তি এবং তিন জনের মৃত্যুর পরপরই সেখানে চলে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি। পরে সেখানে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। মমতা প্রথম থেকেই জানাচ্ছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকাকালীন বাইরে থেকে সেখানে যাওয়া ঠিক নয়। তাতে অশান্তি আরও বাড়তে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজেও মুর্শিদাবাদে যাননি বলে জানান। রাজ্যপালকে না-যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অবশ্য রাজ্যপাল সাড়া দেননি। মুর্শিদাবাদে অশান্তি থেমে গিয়েছে অনেক আগেই। তার পরেও কেন এত দেরি করে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন, প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার মমতা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে আমি আগেও যেতে পারতাম। কিন্তু যত ক্ষণ শান্তি না-ফিরছে, সেখানে যাওয়া উচিত নয়। আমি সেটাকেই ঠিক মনে করি। অনেক দিন আগে মুর্শিদাবাদে শান্তি ফিরেছে। কিন্তু আমার দিঘায় জগন্নাথধামের অনুষ্ঠান ছিল। অনেক দিন আগে সেটা ঘোষিত। তাই সে সব মিটিয়ে আমি এখন মুর্শিদাবাদ যাচ্ছি।’’ দুপুরে মুর্শিদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা।

Advertisement
আরও পড়ুন