—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সমবায় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়া নিয়ে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। একে অন্যকে কটাক্ষ করলেন শাসকদলের নেতাদের। তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এবং বিরোধীদের গন্ডগোলে শোরগোল হুগলির তারকেশ্বরে।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়াসারা স্টেশনপট্টি সমবায় সমিতির নির্বাচন। মাস দশেক আগে একতরফা নির্বাচন করে বোর্ড গঠন করেছিলেন তারকেশ্বরের বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায়ের ঘনিষ্ঠেরা। সেই সময় নানা অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূলেরই তবে রমেন্দুর বিরুদ্ধগোষ্ঠীর লোকজন।
আদালতের নির্দেশ মাফিক মঙ্গলবার পুলিশের উপস্থিতিতে শুরু হয় মনোনয়ন পর্ব। সমবায় সমিতির ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি ছিল। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীই মনোয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তার পরেও শুরু হয় গন্ডগোল।
রমেন্দুর বিরুদ্ধে গোষ্ঠী বলে পরিচিত তারকেশ্বর নাইটা মালপাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ সাইদুল বলেন, ‘‘তৃণমূল বিধায়ক এলাকায় বিজেপির গোষ্ঠী তৈরি করে রেখেছেন। বিজেপিকে নিয়েই বোর্ড গঠন করেছিলেন। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের রায়ে ভোটপর্ব শুরু হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, তাঁদের পক্ষ থেকে ১১ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর পরেই দলীয় বিধায়ককে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘রমেন্দু সিংহ রায় আবার বিধানসভায় টিকিট পেলে তৃণমূল কর্মীরাই বুঝিয়ে দেবেন। তৃণমূলই ওঁকে হারিয়ে দেবে।’’ পাল্টা রমেন্দুর গোষ্ঠী জানিয়েছে, তাদেরও ১১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রাক্তন সমবায় সমিতির সভাপতি তথা রমেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মুন্সি হাফিজুল বলেন, ‘‘ওরা তৃণমূলের কেউ নয়। আমরা বোর্ড গঠন করেছিলাম। ওরা আদালতে গিয়ে পুনরায় ভোট করাচ্ছে। সে করাক।’’
গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে তৃণমূলের তারকেশ্বরের ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায়ের দাবি, তাদের ১১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া কারা মনোনয়ন দিয়েছেন, তা জানেন না। খবর রাখেননি। তিনি বলেন, ‘‘যে বা যাঁরা বিধায়কের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, মানুষ তার জবাব দেবেন। কেউ দলবিরোধী কাজ করলে দলীয় নেতৃত্বের কানে তোলা হবে।’’
আগামী ১৮ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করেছে আদালত। ৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। পরিচালনা সমিতির বোর্ড গঠনে ভোটার সংখ্যা মোট ৮৯৬।