Kasba Rape Case

কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ! গড়িয়াহাটে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হল সুকান্তদের

বিজেপির অভিযোগ, তাদের কয়েক জন কর্মীকে ধরে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তীব্র যানজট তৈরি হয় গড়িয়াহাটে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫ ১৫:৩৭

ছবি: সংগৃহীত।

কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার গড়িয়াহাট মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কয়েক জন কর্মীকে পাকড়াও করে প্রিজ়ন ভ্যানে তুলেছে পুলিশ। প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তকেও। এর ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয় গড়িয়াহাটে। শনিবার দুপুরে অফিস, স্কুল থেকে ফেরার সময়ে বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

কসবার এক আইন কলেজে এক জন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে ধৃত তিন জনের তৃণমূল-যোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সে নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসকদলের দিকে। শনিবার দুপুরে এই ধর্ষণের প্রতিবাদে পথে নামেন বিজেপি কর্মীরা। গড়িয়াহাট মোড়ে আগে থেকে মোতায়েন ছিল পুলিশ। তারা বিজেপি কর্মীদের গড়িয়াহাট থেকে এগোতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। অভিযোগ, সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্ত, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়দের। এর পরেই সুকান্ত-সহ কয়েক জনকে প্রিজ়ন ভ্যানে তোলা হয়।

সুকান্ত এ নিয়ে আঙুল তুলেছেন রাজ্য সরকার এবং পুলিশের দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা থানা ভাঙতে যাইনি। প্রতিবাদ করছিলাম। পুলিশ আটকে দিল।’’ এর পরে তিনি রাজ্য সরকারকে ধিক্কার দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ধর্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘একটি বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষিতা হতে হয়েছে।’’ এই নিয়ে তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন।

কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারও রাস্তায় নামে বিজেপি। কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি এবং কংগ্রেস। পথ অবরোধও করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নেমে কয়েক জনকে পুলিশ আটক করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) দাবি করেছে, মূল অভিযুক্ত দক্ষিণ কলকাতা টিএমসিপি-র সম্পাদক পদে রয়েছেন। বাকিদের সঙ্গেও টিএমসিপির যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন। রাজ্যের নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘মমতার আমলে যে নারীসমাজ সুরক্ষিত নয়, তা দক্ষিণ কলকাতার কলেজের বোনের উপর নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার কমিশনার এখন মমতার সঙ্গে দিঘার রথের উৎসবে ব্যস্ত। নিরাপত্তা নিয়ে কাজের সময় কোথায়? রথের দিনে এমন বেদনার খবর শুনতে হচ্ছে। যত দিন মুখ্যমন্ত্রী, ফিরহাদ, জাভেদ খান (কসবার বিধায়ক) থাকবে, তত দিন চলবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন