Abhijit Sarkar Murder Case

জামিন-রায় না হওয়া পর্যন্ত পরেশ, স্বপনদের বিরুদ্ধে শুনানি নয়, বিজেপি কর্মী হত্যা মামলায় নির্দেশ হাই কোর্টের

বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে, বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এবং কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৫:৫৭
Calcutta High Court stays trial in lower court on CBI charge sheet against TMC leaders in BJP worker Abhijit Sarkar Murder Case

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় বিধায়ক পরেশ পাল-সহ তৃণমূল কাউন্সিলদের বিরুদ্ধে অভিযোগের মামলার শুনানি মুলতুবি রাখার জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ— এখনই মামলা শুনবে না নিম্ন আদালত। আগামী ১ অগস্ট অথবা, এই আদালত (হাই কোর্ট) নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখবে নিম্ন আদালত।

Advertisement

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়েই ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। প্রথমে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশের থেকে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

এই মামলায় পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে সিবিআই। তাতে মোট ২০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল, যাদের মধ্যে ১৫ জনের নাম পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটেও ছিল। গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের।

এ ছাড়া কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষেরও নাম রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়। দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে মোট ১৮ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে সিবিআই। চার্জশিটের ‘অভিযুক্ত’ তালিকায় নাম উল্লেখের পরেই পরেশ-সহ তৃণমূল নেতারা আগাম জামিনের আর্জি জানান কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চে বুধবার সেই আবেদনের শুনানি হয়। অভিযুক্তদের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে ও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে তাঁদের

Advertisement
আরও পড়ুন