Nagarbandhu project of KMC

নগরবন্ধু প্রকল্প ফের চালু করার দাবি কাউন্সিলরদের, ইতিবাচক সুর মেয়র ফিরহাদের, প্রস্তুত পুরসভার রাজস্ব বিভাগ

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে কাউন্সিলরেরা ফের নগরবন্ধু প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে এই প্রকল্প পুনরায় চালুর আর্জি জানান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১৬
Councilors demand to resume Nagarbandhu project, KMC mayor Firhad Hakim agrees

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার্থে কলকাতা পুরসভার চালু করা নগরবন্ধু প্রকল্প আবার আলোচনায়। গত বছর চালু হওয়া এই পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল বয়স্ক বাসিন্দাদের বাড়িতে বসেই সম্পত্তি কর জমা দেওয়া, জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য নাগরিক পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। অনেক প্রবীণ নাগরিক পুরসভার অফিসে এসে অফলাইনে কিংবা অনলাইনে সম্পত্তি কর জমা দিতে পারছেন না— সেই সমস্যাকেই মাথায় রেখে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল।

Advertisement

তবে পরে প্রকল্পটি কার্যত স্থগিত হয়ে যায়। আর সেই প্রকল্পকেই আবার চালু করার দাবি উঠেছে শাসকদলের কাউন্সিলরদের মধ্যেই। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে কাউন্সিলররা ফের নগরবন্ধু প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে এই প্রকল্প পুনরায় চালুর আর্জি জানান। পরিস্থিতি অনুধাবন করে মেয়র বলেন, “যে সব কাউন্সিলর নিজেদের এলাকায় নগরবন্ধু প্রকল্প চালু করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছেন, তাঁরা কলকাতা পুরসভার চিফ ম্যানেজার (রেভিনিউ)-এর সঙ্গে দেখা করে আবেদন করতে পারেন।” মেয়রের এই মন্তব্যকে নির্দেশ হিসেবেই দেখছে পুরসভার রাজস্ব দফতর।

পুরসভা সূত্রে খবর, মেয়র নিজেই অধিবেশনে বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরায় প্রকল্প পুনরায় চালুর সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “মেয়র যা বলেছেন, তা আমাদের কাছে নির্দেশের মতো। কোনও ওয়ার্ড বা এলাকায় যদি কাউন্সিলর আবেদন করেন, তা হলে সেখানে শিবির করে প্রবীণ নাগরিকদের নগরবন্ধু পরিষেবা দেওয়া হবে।” বহু কাউন্সিলরের দাবি, প্রবীণ ও ডিজিটাল সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকদের জন্য প্রকল্পটি অত্যন্ত উপযোগী ছিল। পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহ, নাগরিক যোগাযোগ এবং ডিজিটাল পরিষেবা ব্যবস্থায় এই প্রকল্প বড় ভূমিকা নিতে পারে বলেই মত পুরসভা সূত্রের। এখন সব নজর পুরসভার সিদ্ধান্তের দিকে। প্রশাসনিক অনুমোদন মিললে শীঘ্রই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ফের শুরু হতে পারে নাগরিকবান্ধব এই পরিষেবা।

Advertisement
আরও পড়ুন