Kolkatar Karcha

কলকাতার কড়চা: মহানগরের অতুল ঐশ্বর্য

এ বার পালা কলকাতার। আজ, ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ তারিখ অবধি মহানগরের আটটি জায়গায় নানা আয়োজন। তার মধ্যে আছে শহরের ‘আইকনিক’ পরিচয়বাহী বেশ কিছু ‘ল্যান্ডমার্ক’ ফিরে দেখা।

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৩

আমাদের এই শহরটাই যে আশ্চর্য এক জীবন-সংগ্রহশালা, রোজকার বসবাসের সূত্রে তা আমাদের মনে থাকে না। তাই যাপন পেরিয়ে প্রয়োজন পড়ে উদ্‌যাপনের। দিল্লি আর্ট গ্যালারি মিউজ়িয়মস (ডিএজি) সেই উদ্‌যাপনকে হাজির করছে কলকাতায়, গত চার বছর ধরে। ‘দ্য সিটি অ্যাজ় আ মিউজ়িয়ম’ শিরোনামে পঞ্চম বছরের উৎসব-শুরুটা এ বার হয়েছে শান্তিনিকেতনে, গত ২৮-২৯ নভেম্বর কলাভবন উত্তরায়ণ-সহ আশ্রমের নানা জায়গায় যেমন, তেমনই অজয়ের তীর-সংলগ্ন প্রাচীন টেরাকোটা মন্দির-অঞ্চলেও হয়েছে নানা অনুষ্ঠান।

এ বার পালা কলকাতার। আজ, ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ তারিখ অবধি মহানগরের আটটি জায়গায় নানা আয়োজন। তার মধ্যে আছে শহরের ‘আইকনিক’ পরিচয়বাহী বেশ কিছু ‘ল্যান্ডমার্ক’ ফিরে দেখা— তপতী গুহঠাকুরতা জাইলস টিলটসন ঐশিকা চক্রবর্তী রুচির জোশী ঈপ্সিতা হালদার মৈনাক ঘোষ অন্বেষা সেনগুপ্ত কেয়া দাশগুপ্ত পার্থ দত্ত কৌস্তুভমণি সেনগুপ্ত সপ্তর্ষি সান্যাল সুমন মজুমদার দেবশ্রী সরকার প্রমুখকে সঙ্গী করে, থাকবে ঋভু অভীক ঘোষ অর্ক মুখোপাধ্যায়দের পারফরমেন্সও। রাস্তায় ছোটে যে নীল-হলুদ ছোপানো বেসরকারি বাসেরা, সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায় ও পাভেল পালের কিউরেশনে তারই একটি পপ-আপ ইনস্টলেশনে সেজে ঘুরবে শহরময়। বাস নয়, যেন এক ভ্রাম্যমাণ বায়োস্কোপ: উঁকি দিলেই বঙ্গশিল্পীদের চোখে শহরের বিশ্বরূপ দর্শন।

ডিএজি-র সংগ্রহে আছে চিত্রশিল্পী রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এচিং ও স্কেচের সম্ভার, যেখানে কলকাতার ব্যস্ত দৈনন্দিতার শিল্পিত রূপটি শহরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের প্রেক্ষাপটে চিত্রিত: পথচারীর দিগন্তচারী দৃষ্টিসীমা, কখনও উপরের জানলা থেকে কোনও বাসিন্দার নগর-অবলোকন এই শহরকে উদ্ভাসিত করে নতুন আলোয়। এই দৃশ্যসূত্র ধরেই আজ সকালে ঘুরে দেখা হবে এখনকার কালীঘাট অঞ্চল; মন্দির বাজার-সহ রোজকার জীবন পেরিয়ে সেকালের পটচিত্র থেকে আজকের পটুয়াপাড়া নিয়ে আলোচনা হবে আলিপুর মিউজ়িয়মে। এ ভাবেই আগামী কাল নাখোদা মসজিদ-সংলগ্ন জাকারিয়া স্ট্রিটও হয়ে উঠবে স্মৃতি, অভিবাসন, বহুসংস্কৃতির সন্ধানক্ষেত্র।

গঙ্গাবক্ষে নৌকায় ভেসে ফিরে দেখা হবে সেকালের নৌ-শ্রমিকদের সূত্রে ফোর্ট উইলিয়ামের নির্মাণ-ইতিহাস (১০ ডিসেম্বর), ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এ স্মরণ করা হবে এই অতুল স্থাপত্য-নির্দশনের ইতিহাস ও তার ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকদের অবদানকে (১৫ ডিসেম্বর, দুপুর ৩টে)। মেট্রো, নিউ এম্পায়ার সিনেমাহলের সূত্র ধরে ধর্মতলার ‘আর্ট ডেকো’ থিয়েটার আর সিনেমাপাড়া-সংস্কৃতির ছানবিন (১৩ ডিসেম্বর), চল্লিশ থেকে সত্তর দশকের কলকাতার সুরেলা ‘নিশিজীবন’চিত্র (১৪ ডিসেম্বর), শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় কেন্দ্র করে মহানগরের পরিবর্তন ও বিবর্তনের নাড়ি ছোঁয়া (১২ ডিসেম্বর), শিয়ালদহ স্টেশনে দেশভাগ-উত্তর ‘অপেক্ষার রাজনীতি’ বোঝার প্রয়াস (৯ ডিসেম্বর)। ঐতিহ্য যে শুধুই সাকার ও সরূপ নয়, তা যে এক আবহমান বোধ যা সতত চর্চা করতে হয়— সে কথাই মনে করিয়ে দেবে ভিন্নধারার এই উৎসব। ছবির চিত্রকৃতিটি উৎসবেরই একটি অনুষ্ঠানের প্রচারচিত্র, ডিএজি-র সৌজন্যে প্রাপ্ত।

স্মরণে

বুদ্ধদেব বসুর (ছবি) হাতেই গড়ে উঠেছিল দেশের প্রথম তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ, ১৯৫৬-য় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁরই উদ্যোগে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত নরেশ গুহ থেকে রবের আঁতোয়ান বা পরে পরে অমিয় দেব নবনীতা দেব সেন মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের মতো খ্যাতকীর্তি মানুষেরা এই বিভাগে পড়িয়েছেন, সম্প্রতিকালে সুবীর রায়চৌধুরী স্বপন মজুমদার শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ নভেম্বর বুদ্ধদেব বসুর জন্মদিন স্মরণে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ প্রতি বছর আয়োজন করে ‘বুদ্ধদেব বসু স্মারক বক্তৃতা’; বাংলা সাহিত্য ও অনুবাদ-চর্চায় বুদ্ধদেব ও বিভাগের সক্রিয়তা মনে রেখে ভাবা হয় নানা অধিবেশন। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুপুর ৩টেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্টস বিল্ডিংয়ের চার তলায় বুদ্ধদেব বসু সভাঘরে এ বছরের বক্তৃতা, লেখক-অনুবাদক কৌশিক গুহ বলবেন রুশ ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদের প্রবাহ ও তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে— ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা: অনুবাদের অধরা মাধুরী’।

সেবামূর্তি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শক্তিশালী জাপান চিন আক্রমণ করলে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে পাঁচ ভারতীয় ডাক্তার চিন-এ গিয়েছিলেন, আহত চিনা সৈনিকদের শুশ্রূষায়। তাঁদেরই অন্যতম দ্বারকানাথ কোটনিস। অতিরিক্ত পরিশ্রমে চিনের মাটিতেই মৃত্যু হয় তাঁর, ১৯৪২-এর ৯ ডিসেম্বর, মাত্র ৩২ বছর বয়সে। ‘ডা. দ্বারকানাথ কোটনিস স্মৃতিরক্ষা কমিটি’ প্রতি বছর দিনটি পালন করে ‘কোটনিস দিবস’ হিসেবে, আয়োজন করে আলোচনা। এ বারের অনুষ্ঠান আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রামমোহন লাইব্রেরির রায়া দেবনাথ হল-এ, ‘ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বন্দ্বের ভূত-ভবিষ্যৎ’ নিয়ে বলবেন ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল-সভাপতি পল্লব সেনগুপ্ত। থাকবেন কলকাতার চিনা উপ-দূতাবাসের কনসাল জেনারেল।

প্রবাদপ্রতিম

ষাটের দশকে রমেন্দ্রকুমার সেনের গবেষণাপত্র প্রকাশসূত্রে উঠে আসে ভরতের নাট্যশাস্ত্র পাঠের নতুন দিক। এই সূত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম ডি লিট হন তিনি। গ্রিক ল্যাটিন সংস্কৃত পালি আরবিতে সুপণ্ডিত, শেক্সপিয়ারের নাটকে প্রকৃতি ও রোম্যান্টিক প্রেম তাঁর অন্তর্ভেদী বিশ্লেষণে সমালোচনার নবদিশা দেখিয়েছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবাদপ্রতিম এই অধ্যাপকের জন্মশতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্কের শিবানন্দ হল-এ আজ বিকেল ৫টায় ওঁর পরিবার ও প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে শতবর্ষ স্মারক বক্তৃতা। আইএলএসআর কলকাতা-র স্কুল অব লিঙ্গুইস্টিক স্টাডিজ়ের অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্ববিদ অমিতাভ দাস বলবেন ‘বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির ধারা’ নিয়ে।

পথ-সন্ধান

শ্রমজীবী মানুষের সহমর্মী হয়ে কাজ করছে ‘নাগরিক মঞ্চ’, ১৯৮৯ থেকে। তারই অঙ্গ প্রতি বছর স্মারক আলোচনা আয়োজন: শিল্প, শ্রম, পরিবেশ, সমাজ, অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে। গত ৩৬ বছরে হয়েছে ২৪টি বার্ষিক আলোচনা, বলেছেন গবেষক অর্থনীতিবিদ থেকে শ্রমিক নেতা, শিল্প-বিশেষজ্ঞরা। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাপর্বের সহযোগী সহ-সভাপতি, লেখক-সম্পাদক শংকর রায়ের স্মরণে এ বছর স্মারক আলোচনার বিষয় ‘শ্রমিক সমবায় কি এখন একটা বিকল্প হতে পারে না?’— বলবেন অঞ্জন চক্রবর্তী কিংশুক সরকার রজত কান্তি সুর নব দত্ত ব্যাসদেব দাশগুপ্ত প্রমুখ। উদ্যোগ-সঙ্গী আইডিএসকে কলকাতা-ও, অনুষ্ঠানও সেখানেই, আগামী কাল রবিবার দুপুর ৩টেয়।

মহাকাব্যের শিল্প

চার দিন ব্যাপী, ভিন্নধারার এক দৃশ্যকলা শিল্পের অনুষ্ঠানমালা হতে চলেছে শহরে, ‘টিম ডেক্সটার’-এর উদ্যোগে। আইসিসিআর-এর নন্দলাল বসু গ্যালারিতে আগামী ১২-১৫ ডিসেম্বর, রোজ ৩টে-৮টা দর্শক-শ্রোতারা সাক্ষী থাকবেন ‘ইনফার্নো’, ‘পুরগেতোরিয়ো’ আর পারাদিসো’র: মহাকবি দান্তের অমর সৃষ্টি দিভিনা কম্মেদিয়া বা ডিভাইন কমেডি যে আয়োজনের প্রেরণা। শিল্পের নানা মাধ্যমে এখানে ফুটে উঠবে মহাকাব্যের স্বাক্ষর: ইনফার্নো অংশে ১৫ তারিখ সন্ধে ৬টায় ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নিবেদিত থিয়েটার তদন্ত, নিকোলাই গোগোলের দ্য গভর্নমেন্ট ইনস্পেক্টর-এর বঙ্গরূপ। তার আগের দু’দিনে পুরগেতোরিয়ো অংশে নিকন-এর বন্যপ্রাণ আলোকচিত্র কর্মশালা, পারাদিসো অংশে ফেবার কাস্টেল ও পিডিলাইট-এর উদ্যোগে চারকোল আর্ট ও লাইনোকাটের শিল্পকর্মশালা।

আ-শক্তি

নাটককার বা নাট্য-নির্দেশকের শিল্পযাপন কদাচ কবিতাবিমুখ নয়। বরং মঞ্চে দৃশ্যশব্দের কবিতাই তৈরি করতে চান তাঁরা। অন্তত দেবাশিস তা-ই চেয়েছেন, কবিতার স্বাদ নিতে না পারলে নির্দেশক হয়ে ওঠা কঠিন— মত তাঁর। তাই শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতো কবিকে নিয়ে যখন তাঁকে নাট্য-নির্দেশনায় আহ্বান করেন সৌমিত্র মিত্র, জানা যায় নামভূমিকায় অভিনয় করবেন দেবশঙ্কর হালদার, তখন ভিতরে ভিতরে কাজ করেছিল এক অন্য উত্তেজনা। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এ নাটকে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জীবন-পরিক্রমায় উঠে আসে শিল্প ও শিল্পীর সংঘর্ষ ও সহযোগের কথকতা; বহড়ু আর কলকাতাও হয়ে ওঠে দুই চরিত্র। ‘পূর্ব পশ্চিম’ নাট্যদলের নতুন নাটক আ-শক্তি’র প্রথম অভিনয় অ্যাকাডেমি মঞ্চে, ১১ ডিসেম্বর সন্ধে সাড়ে ৬টায়। ছবিতে আশির দশকের শহরে ‘আবৃত্তিলোক’ আয়োজিত কবিতা-উৎসবে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সুভাষ মুখোপাধ্যায় মহাদেব সাহা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

চিত্রিত যাত্রা

পেশায় শিশুরোগ-বিশেষজ্ঞ, পাশাপাশি মানুষের জীবন দেখার অভ্যেস। আর আছে ছবি আঁকা, মনের তাগিদে। বৈপরীত্যের দ্বন্দ্ব-সংশ্লেষে রাজা লাহিড়ির চিত্রপটে ফুটে ওঠে অফুরন্ত ‘দেখা’র নানা দিক। ছেলেবেলার অসম-লাইনের হাফলং পাহাড়, শ্যামল নিসর্গ, ব্রহ্মপুত্র চোখে লেগেই ছিল, কর্মজীবনের ব্যস্ততার ধুলোয় সেই গাছ নদী প্রান্তর আকাশ ঢাকা পড়েছিল দীর্ঘদিন। কর্মসূত্রে দেশ-বিদেশের নানা মিউজ়িয়মে ছবি দেখার অভিজ্ঞতাই কোভিডকালে সৃষ্টির প্রেরণা হয়ে উঠল: বই লেখা আর পরে ছবি আঁকার তাগিদ এল, নিজের অনুভব প্রকাশের ভাবনায়। সেই চিত্রিত নিসর্গই (ছবি) এ বার রূপ নিয়েছে একক চিত্রপ্রদর্শনীর, ‘ইমোশন টু প্যাশন’; অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সাউথ গ্যালারিতে গুণিজন-সমাগমে আজ শুরু, দেবদত্ত গুপ্ত ও পার্থ দাশগুপ্তের কিউরেশনে। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, দুপুর ২টো-রাত ৮টা।

জীবন-নাট্য

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী সৃষ্টি পদ্মানদীর মাঝি, জেলে-মাঝিদের জীবনসংগ্রামের চুম্বকে সমাজজীবনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। তাদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, অভাব-অভিযোগ সবই নদী ও প্রকৃতির অনিশ্চিত ছন্দের সঙ্গে জড়িয়ে। গত কয়েক দশক ধরে নাটক, চলচ্চিত্র, মঞ্চনাট্যের আকারে নবজীবন পেয়েছে ১৯৩৬-এ গ্রন্থবদ্ধ এই উপন্যাস। কুবের মালা কপিলা হোসেন মিয়ার চিরায়ত আখ্যানের আরও এক বার প্রাণপ্রতিষ্ঠা বাংলার মঞ্চে, পার্থপ্রতিম দেবের নির্দেশনায় বাঘাযতীন আলাপ নাট্যদলের নতুন প্রযোজনা পদ্মা নদীর মাঝি-তে। প্রথম অভিনয় আগামী কাল ৭ ডিসেম্বর, তপন থিয়েটারে— একই দিনে দু’টি শো, দুপুর ৩টে ও সন্ধে সাড়ে ৬টায়। অন্য দিকে, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় নেহরু চিলড্রেন’স মিউজ়িয়মে নাট্যবন্ধুরা একত্র হবেন ভদ্রা বসুকে মনে রেখে— কয়েক দশক-দীর্ঘ যাঁর অভিনয়জীবন বাংলা থিয়েটার, যাত্রা, বেতার, চলচ্চিত্রকে ঋদ্ধ করেছে। ভিডিয়ো-তথ্যচিত্র নির্মাণ, বা বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে ওঁর কাজের কথা জানেন ক’জন? স্বজন-সুহৃদদের কথায় উঠে আসবে সেই জীবনব্রত।

আরও পড়ুন