Sand Mining Scam Case

বালি পাচার মামলায় প্রথম গ্রেফতার ইডির, জালে কলকাতার নামী ব্যবসায়ী! ৭৮ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

অভিযুক্তের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করে বিচার ভবনে হাজির করানো হয়েছিল। এক দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:১৬
বালি দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে কলকাতার ব্যবসায়ী।

বালি দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে কলকাতার ব্যবসায়ী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বালি পাচার মামলায় কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল ইডি। এই প্রথম বালি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ইডির তরফে কাউকে গ্রেফতার করা হল। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে বিচার ভবনে হাজির করানো হয়েছিল। এক দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। শুক্রবার ফের তাঁকে আদালতে হাজির করাতে হবে।

Advertisement

ইডি সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অরুণ সরাফ। শহরের একটি নামী মাইনিং (খনি সংক্রান্ত) সংস্থার শীর্ষ পদে রয়েছেন তিনি। বালি নিয়ে প্রায় ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি, তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণও মিলেছে। এ বিষয়ে জেরা করার জন্য ১৪ দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। আপাতত এক দিনের হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছে।

অভিযুক্তের আইনজীবী ইডির বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন এবং অরুণের জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। তাঁর যুক্তি, এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তাঁর মক্কেল। তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করেছেন। তা ছাড়া, যে সময়ে এই দুর্নীতি নথিভুক্ত হয়েছে এবং এফআইআর হয়েছে, সে সময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন না অরুণ। তাই এই দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগের সম্ভাবনাও নেই বলে দাবি আইনজীবীর। এ ছাড়া, তিনি আদালতে অরুণের স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। মাঝেমধ্যে চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন পড়ে। সে বিষয়টিও বিবেচনা করার অনুরোধ জানান অরুণের আইনজীবী।

অরুণের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, অরুণের কাছে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি। একটি সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালিয়ে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডির পাল্টা দাবি, ওই সংস্থা অরুণেরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে বালি পাচার মামলার তদন্ত করছে ইডি। একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীর গ্রেফতারি এই সংক্রান্ত তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন