BJP Protest in Howrah

বাংলাদেশ নিয়ে এ বার হাওড়া ব্রিজ অবরোধের চেষ্টা বিজেপির! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, সেতুর দু’দিকেই তৈরি হয়েছে যানজট

সম্প্রতি ময়মনসিংহে দীপু দাসকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। মঙ্গলবারের পর বুধবারও প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:১২
Tension in Howrah Bridge area over BJP\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s program amid Bangladesh situation

হাওড়া ব্রিজের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিক্ষোভকারীদের। — নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশের যুবক খুনের প্রতিবাদে বুধবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা। বুধবার বিজেপির পূর্বঘোষিত ‘হাওড়া ব্রিজ অবরোধ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। কিন্তু হাওড়া ব্রিজে ওঠার আগেই বিজেপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বাক্‌বিতণ্ডায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। রাস্তার উপর বসে পড়েন তাঁরা। পুলিশের ব্যারিকেড টপকে মিছিল এগোনোর চেষ্টা করতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তার জেরে হাওড়া ব্রিজ এবং তার আশপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি ময়মনসিংহে দীপু দাসকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। মঙ্গলবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, এভিবিপি, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ-সহ সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠনের ডাকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বেকবাগান এলাকা।

বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে পৌঁছোনোর আগেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ উপদূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেকবাগান এলাকা। প্রথমে ওই অভিযানে বিজেপি না-থাকলেও পরিস্থিতি জটিল হওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতৃত্ব। পরে হাওড়া ব্রিজ অবরোধের কথা বলে বিজেপি।

সেই মতো বুধবার সকালে বিজেপির নেতাকর্মীরা হাওড়া ব্রিজের দিকে মিছিল করে এগোয়। তবে ব্রিজে ওঠার আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে সেই আশঙ্কা করে পুলিশ ওই এলাকা আগে থেকেই ঘিরে রেখেছিল। মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা ব্রিজে ওঠার চেষ্টা করলে তা আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে বিজেপি কর্মীরা রাস্তার উপরই বসে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলেই শুরু হয় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, তখন পুলিশের উপর চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

দীপু দাসের হত্যার প্রতিবাদ ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে তার আভাস মঙ্গলবার দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘উপদূতাবাসে আমাদের ঢুকতে দিয়ে যদি কথা বলে, তা হলে ভাল। কথা যদি না বলে, তা হলে বাইরের রাস্তা আমাদের। আমরা যা করার করব। এখানে সুস্থ ভাবে কাজ করতে দেব না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন