—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মহিলা। ওই টাকা দিয়ে স্বামীকে টোটো কিনে দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে ঋণের অর্থ শোধও করছিলেন। কিন্তু গত দু’মাস ধরে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সময় মতো ঋণের কিস্তি জমা দিতে পারেননি। চাপ বাড়ছিল। সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরা বাড়ি বয়ে এসে টাকার জন্য তাগাদা দেন। সেই চাপে মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহর লাগোয়া মাজদিয়া এলাকার ঘটনা।
রবিবার বাড়ি থেকে মানোহারা বিবি নামে ৪২ বছরের এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় ঋণ প্রদাণকারী সংস্থার কর্মীদের চাপেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
মানোহারা প্রায় এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে খবর। পরিবারের দাবি, সঠিক সময়েই কিস্তির টাকা দিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে গত দু’মাসে পরপর দু’টি কিস্তি দিতে পারেননি। সে জন্য ঋণদাতা সংস্থা লোক পাঠিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় অপমান করেন মহিলাকে। টাকা আদায়ের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সংস্থার কর্মীরা বাড়িতে বসেছিলেন। শুক্রবারেও দু’বার বাড়ি বয়ে এসে হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও এখনই টাকা জোগাড় করতে পারেননি মহিলা। তার পরেই এই চরম পদক্ষেপ করেছেন।
মৃতার পুত্র আরিফ শেখ বলেন, ‘‘রাতে খেতে বসেও মা আমাকে বলেছিল, কিছু টাকা জোগাড় করতে হবে। আমি মাকে বলি, সকালে বাইক বন্ধক রেখে টাকা এনে দেব। ভোরে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আমি মাকে ডাকতে গিয়ে দেখি, মা ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে কাপড় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।