Fraud Case

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলে জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ! তেহট্টে গ্রেফতার এক

তেহট্টের নিশ্চিন্তপুর তারানগরের বাসিন্দা মাধব হালদার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক আরও এক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:০৩
One arrested in Tehatta for alleged fraud case

তেহট্টের পলাশিপাড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত রাকেশ মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন। পরে ভুয়ো নিয়োগপত্রও ধরিয়েছিলেন! ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়তেই গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া তেহট্টের পলাশিপাড়া থানা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্টের নিশ্চিন্তপুর তারানগরের বাসিন্দা মাধব হালদার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, পলাশিপাড়া থানা এলাকার দুই যুবক— রাকেশ মণ্ডল এবং আনোয়ার শেখ তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁরা দাবি করেন, মাধবের পুত্রের রেলের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে কিছু টাকা দিতে হবে। মাধব তাঁদের পাঁচ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা দেন। টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ হয়ে যান ওই দুই যুবকই। কোথায় চাকরি? দিন কয়েক বাদে খোঁজ নিতে গেলে মাধবকে জানানো হয় তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা হয়ে যাবে। হাতে চলে আসবে নিয়োগপত্রও।

অভিযোগ, কয়েক দিন পর রাকেশরা মাধবের পুত্র টিঙ্কর হালদারকে একটি নিয়োগপত্র দেন। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর সন্দেহ হওয়ায় তা যাচাই করেন মাধব। তখনই খোলসা হয় প্রতারণা ছকের আসল গল্প। দেখা যায়, ওই নিয়োগপত্র জাল। সময় নষ্ট না-করে পলাশিপাড়া থানায় দুই অভিযুক্তের নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন মাধব। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এখনও পলাতক আনোয়ার।

সোমবার ধৃত রাকেশকে তেহট্ট আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই সব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন