Fake Aadhaar Card Scam

সরকারি সার্ভারে ভুয়ো নথি দিয়ে জাল আধার তৈরি! খড়গ্রামে হানায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা সেন্টারের মাধ্যমে অভিযুক্তেরা খদ্দের জোগাড় করতেন। কোনও বৈধ নথি ছাড়া আধার কার্ড তৈরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা দাবি করা হত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৫
থানায় অভিযুক্তেরা।

থানায় অভিযুক্তেরা। — নিজস্ব চিত্র।

মোটা টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরির একটি চক্রের হদিস পেল পুলিশ। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদে খড়গ্রাম থানা এলাকায় একটি অনলাইন পরিষেবা সেন্টারে হানা দিয়ে প্রচুর আধার কার্ড, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, আঙুলের ছাপ স্ক্যান করার যন্ত্র, চোখের মণি স্ক্যান করার যন্ত্র, কিপ্যাড, মাউস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর নথিও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মেহেদি হাসান মমিন, মোশারফ মমিন, সুমন মমিন। জেরায় তাঁরা স্বীকার করেছেন, বেআইনি ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা এই কাজ করছিলেন। চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা সেন্টারের মাধ্যমে অভিযুক্তেরা খদ্দের জোগাড় করতেন। কোনও বৈধ নথি ছাড়া আধার কার্ড তৈরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা দাবি করা হত। কী ভাবে চলত জালিয়াতি? তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত আধার কেন্দ্রগুলির ইউজ়ার আইডি ও পাসওয়ার্ড জোগাড় করত এই চক্র। পরবর্তী কালে সেগুলি ব্যবহার করে তারা সরকারি আধার সার্ভারে ঢুকে পড়ত। একের পর এক ভুয়ো নথি আপলোড করে আধার তৈরি করত ওই চক্র। ধৃতেরা দাবি করেছেন, তাঁরা প্রতিটি আধার কার্ড বানাতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা চাইতেন। ধৃতদের রবিবার কান্দি আদালতে হাজির করানো হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ওই অনলাইন পরিষেবা সেন্টারে কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন বলে তথ্য মিলেছিল। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এঁরা টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরি করে দিতেন। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন