Harassment Case

দুই নার্সিং পড়ুয়ার শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের পুরুষ নার্স

গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। সোমবার সকাল থেকে থেকে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৩
A health worker of Alipurduar District Hospital was accused of harassment, arrested

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দুই নার্সিং পড়ুয়ার শ্লীলতাহানির করার ঘটনায় গ্রেফতার এক যুবক। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক ওই হাসপাতালেরই মেল নার্স পদে কর্মরত। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। সোমবার সকাল থেকে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে শোরগোল পড়ে যায়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের অন্য নার্সিং পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়-সহ একাধিক স্বাস্থ্যকর্তা। তার পর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল। একই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কী অভিযোগ? জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পুরুষ নার্স দীর্ঘ দিন ধরেই মত্ত অবস্থায় ডিউটি করতেন। অভিযোগ, নানা অছিলায় মহিলা নার্সদের অশোভন ইঙ্গিত করতেন। তবে এত দিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। গত শনিবার দুই নার্সিং পড়ুয়ার সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই দুই পড়ুয়া প্রথমে নার্সিং ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ দীপ্তি কর চৌধুরীর কাছে বিষয়টি জানান। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা এবং অধ্যক্ষ মিলে হাসপাতাল সুপারকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানান। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেলা হাসপাতালের সুপার এ প্রসঙ্গে বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগের একটি প্রতিলিপি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।” আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement
আরও পড়ুন