BJP

কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার চেয়ে থানা ঘেরাও বিজেপির, বামনগোলায় পুলিশকে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া

দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার চেয়ে মালদহের বামনগোলার নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও বিজেপির। বিজেপির কর্মসূচিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৩
BJP workers show agitation before Bamangola out post at Malda

পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিজেপির বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।

দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার চেয়ে সোমবার মালদহের বামনগোলার নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করল বিজেপি। ফাঁড়ির সামনে ধর্নায় বসেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ অন্যান্যরা। পুলিশ আধিকারিককে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করতে দেখা গেল বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে। বিজেপির এই কর্মসূচিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। সোমবারই বামনগোলায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পুত্র এবং পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার মালদহের বামনগোলা থানার মদনাবতী পঞ্চায়েতের কয়নাদিঘি গ্রামের বাসিন্দা বুরন মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বুরনের পুত্র বিপ্লব মুর্মু এবং পুত্রবধূ শর্মিলা মাড্ডিকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে খুন, প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা-সহ নানা ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবারই ওই ঘটনার প্রতিবাদে বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক মহিলা বিজেপি কর্মী আইসি জয়দীপ চক্রবর্তীকে ঝাঁটা হাতে তাড়া করেন। যদিও অন্যান্য পুলিশকর্মীরা ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন। খগেনের অভিযোগ, ‘‘বুরনের পুত্র এবং পুত্রবধূ নয়, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাই অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।’’

Advertisement

খগেনের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের মালদহ জেলার সহ-সভাপতি দুলালচন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘পারিবারিক অশান্তির জন্য ওই খুন হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বিজেপি মৃত্যুর দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাতে চেয়ে নাটক করছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে, বিজেপির প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছেন। সেই কারণে আন্দোলনের নামে নাটক করছে ওরা।’’

Advertisement
আরও পড়ুন