Civic Volunteers in Siliguri

‘নিরাপদে কাজ করতে পারছি না’! পুলিশে অভিযোগ করলেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা, শিলিগুড়িতে চাঞ্চল্য

সোমবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকার সিভিক ভলান্টিয়াররা ভক্তিনগর থানার আইসি এবং ওসিকে একটি লিখিত পত্র দিয়েছেন। তাঁরা জানান, কর্মক্ষেত্রে সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ২০:০৪
Civic Volunteer

কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, অভিযোগ নিয়ে থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। —নিজস্ব চিত্র।

আইনজীবীর হাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ ঘিরে রবিবার উত্তাল হয়েছিল শিলিগুড়ির সেবক এলাকা। এ বার কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা। তাঁদের অভিযোগ, কর্তব্য পালন করতে গিয়ে বার বার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। এর সুরাহা না-হলে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কাজ করতে হবে তাঁদের।

Advertisement

গত রবিবার শিলিগুড়ি সেবক রোডের পায়েল মোড়ে এক আইনজীবী এবং ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। অভিযোগ, সেখানে উপস্থিত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেন ওই আইনজীবী। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) দেখা যায়, কয়েক জন যুবক মিলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে বার করে নিয়ে গিয়ে মারধর করছেন। ছিঁড়ে দেওয়া হয় সিভিকের পরনের পোশাক। তবে ওই আইনজীবী করেছেন, কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। ঘণ্টা চারেক পথ অবরোধ হয়। শোরগোলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সামাল দিতে গিয়ে বেগ পায় ভক্তিনগর থানা, শিলিগুড়ি থানা এবং পানিটাকি আউট পোস্টের পুলিশ।

সোমবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকার সিভিক ভলান্টিয়াররা ভক্তিনগর থানার আইসি এবং ওসিকে একটি লিখিত পত্র দিয়েছেন। তাঁরা জানান, কর্মক্ষেত্রে সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রহৃত সিভিক রবি রায় বলেন, ‘‘আমরা উচ্চপদস্থ কর্তাদের নির্দেশে ডিউটি করি। কিন্তু আমাদের উপর আক্রমণ হয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘দুটো গাড়ির ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। আইনজীবী রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আমি ট্রাফিক ‘ক্লিয়ার’ করতে গিয়েছিলাম। সেই থেকেই এই কাণ্ড। আমি এবং আমার সহকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা ওই ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই।’’

অভিযুক্ত আইনজীবী প্রজ্ঞাদিত্য রায়ের পাল্টা দাবি, দুটো গাড়ির ধাক্কাধাক্কির কথা ট্রাফিক পুলিশকে জানাতে গেলে তিনি কোনও সহয়তা করেননি। উল্টে অন্য গাড়িকে সেখান থেকে পালাতে সাহায্য করেন এবং তাঁর উপর চড়াও হন। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন