Malda TMC Worker Murder Case

কালিয়াচকের তৃণমূলকর্মী তথা কয়লা ব্যবসায়ী খুন! গুলিবিদ্ধ দেহ মিলল ইংরেজবাজারের আমবাগানে

গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার কলেজ মোড় এলাকায়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৩
Malda TMC Worker Murder Case

তৃণমূলকর্মী ওবায়দুল্লা খানের দেহ পাওয়া যায় ইংরেজবাজারের একটি আমবাগানে। খানিক দূরে পাওয়া যায় তাঁর বাইক। —নিজস্ব চিত্র।

আবার মালদহ। আবার ইংরেজবাজার। আবার গুলি করে খুন করা হল শাসকদলের সদস্যকে। বুধবার তৃণমূলকর্মী তথা কয়লা ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ দেহ মিলল একটি আমবাগানে। প্রায় ১২ ঘণ্টা তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূলকর্মীর নাম ওবায়দুল্লা খান। পেশায় কয়লা ব্যবসায়ী ওই যুবক শাসকদলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। পরিবারের দাবি, সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। বুধবার সকালে ইংরেজবাজারের একটি আমবাগান থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে।

ওবায়দুল্লার বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার কলেজ মোড় এলাকায়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়়ি ফেরেননি। বার বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়েও ব্যর্থ হন সকলে। শেষমেশ রাতেই কালিয়াচক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ীর পরিবার খবর পায়, তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে ইংরেজবাজার থানার কাটাগর এলাকায় একটি আমবাগানে। খানিক দূরে পাওয়া যায় তাঁর বাইকটিও। পরিবারের অভিযোগ, গুলি করে খুন করা হয়েছে ওবায়দুল্লাকে। কিন্তু খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক না ব্যবসায়িক কারণ রয়েছে, না কি ব্যক্তিগত শত্রুতায় এই ঘটনা, তা পরিষ্কার বলতে পারেনি তারা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ আটক বা গ্রেফতার হননি বলে খবর।

চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারের মহানন্দাপল্লি এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তৃণমূলনেতা তথা ব্যবসায়ী বাবলা সরকার। ওই কাউন্সিলরকে খুনের ঘটনায় ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা এখনও বিচারাধীন।

Advertisement
আরও পড়ুন