SIR in West Bengal

২২০৮ নয়, রাজ্যের ৪৮০ বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত ভোটার নেই! কমিশন তলব করার পরেই ডিইও-দের রিপোর্টে সংখ্যাবদল

ডিইও-দের তরফে যে তথ্য এসেছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ২,২০৮টি বুথে কোনও গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি, কেউ স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ হননি। ওই বুথগুলিতে কোনও ভোটারের একাধিক জায়গায় নাম নেই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৯

— প্রতীকী চিত্র।

ছিল ২,২০৮, হল ৪৮০। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট চাওয়ার পরেই সংখ্যাবদল। ডিইও (জেলা নির্বাচনী আধিকারিক)-রা নতুন রিপোর্ট দিয়ে জানালেন, রাজ্যের ৪৮০টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি, কেউ স্থানান্তরিত হননি।

Advertisement

জেলাশাসকেরাই পদাধিকার বলে ডিইও। তাঁদের তরফে যে তথ্য এসেছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ২,২০৮টি বুথে কোনও গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি, কেউ স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ হননি, কোনও ভোটারের একাধিক জায়গায় নাম নেই। ওই সব বুথে যত ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছিল, সেগুলি সবই পূরণ করে জমা দেওয়া হয়েছে। একটি বুথে ভোটারের সংখ্যা যদি হাজার ধরা হয়, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, তবে কি রাজ্যের ওই ২,২০৮টি বুথে গত এক বছরে কেউ মারাই যাননি? ওই তালিকায় সবচেয়ে বেশি বুথ ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। সেখানকার ৭৬০টি বুথে যত এনুমারেশন ফর্ম বিলি করেছিলেন বিএলও-রা, ততগুলোই পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে। অর্থাৎ ওই বুথগুলিতে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তি গত এক বছরে মারা যাননি।

সোমবারই ওই সব জেলার কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিলি হওয়া সব এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে, এমন বুথের সংখ্যা ২,২০৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮০-তে। সব চেয়ে বেশি এ রকম বুথ রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ওই জেলার রায়দিঘিতে ৬৬টি, কুলপিতে ৫৮টি, মগরাহাটে ১৫টি এবং পাথরপ্রতিমায় ২০টি বুথে সব ফর্ম পূরণ করার পরে ফেরত এসেছে। অর্থাৎ সেখানে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি। কেউ স্থানান্তরিতও হননি।

কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে এমন বহু বুথও রয়েছে, যেখানে হাতে গোনা কয়েকটি এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত আসেনি। বাকি প্রায় সমস্ত ফর্মই জমা পড়েছে। একটি মাত্র ফর্ম ফেরত আসেনি, রাজ্যে এমন বুথের সংখ্যা ৫৪২। দু’টি ফর্ম জমা পড়েনি এমন বুথ রয়েছে ৪২০টি। সেই হিসাবও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement
আরও পড়ুন