PM Modi In Durgapur

‘তৃণমূলের অপশাসনে ভুগছে বাংলা, বিজেপিই ভরসা’! দুর্গাপুরে জনসভার আগে বার্তা মোদীর

শুক্রবার বেলা ২টো নাগাদ অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে যাবেন। প্রশাসনিক কর্মসূচির পর রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক সভা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের অপশাসন চলছে পশ্চিমবঙ্গে। এখানে একমাত্র ভরসা বিজেপি! পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে জনসভার আগের রাতে সমাজমাধ্যমে এমনটাই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তাঁর জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বানও জানালেন।

Advertisement

গত মে মাসে উত্তরবঙ্গে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার আবার আসছেন বঙ্গ সফরে। দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর সভা শুরু হবে। প্রথমে থাকবে প্রশাসনিক কিছু কর্মসূচি। বেলা ৩টে থেকে দুর্গাপুরে রাজনৈতিক সভা করবেন মোদী। রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির সব নেতারই এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, ‘‘তৃণমূলের অপশাসনে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। সেখানকার মানুষ বিজেপিকেই ভরসা করছেন। মানুষ জানেন, বিজেপিই একমাত্র উন্নয়ন আনতে পারে। ১৮ জুলাই আমি দুর্গাপুরে বিজেপির সভায় ভাষণ দেব। আপনারা সকলে আসুন।’’

প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে দুর্গাপুরে সাজ সাজ রব। বিজেপির শীর্ষ নেতারা একে একে বর্ধমানে পৌঁছে গিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দুর্গাপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুরবেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সভায় মানুষকে আমন্ত্রণ জানাবেন। বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল সৌমিত্র খাঁ, জ্যোতির্ময় মাহাতোরা দুর্গাপুরে আছেন।

শুক্রবার বেলা ২টো নাগাদ অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে যাবেন। যাত্রাপথের শেষ তিন কিলোমিটার ধরে রাস্তার দু’পাশে বিজেপি কর্মীদের জমায়েত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে পুষ্পবৃষ্টি হবে। আড়াইটে নাগাদ তিনি প্রশাসনিক সভার মঞ্চে পৌঁছোবেন। তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক এবং রেল সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন। তার পরে শুরু হবে রাজনৈতিক সভা। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সভার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে অনেকের মত।

Advertisement
আরও পড়ুন