ত্রুটিযুক্ত খসড়া ভোটার তালিকা হাতে বিএলও জগবন্ধু দে। —নিজস্ব চিত্র।
এসআইআরের পর নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই ধরা পড়ছে একের পর এক ত্রুটি। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ায়। খসড়া ভোটার তালিকায় খোদ বিএলও-র দাদার নামের পাশেই স্থান পেয়েছে অজ্ঞাপরিচয় এক মহিলার ছবি। কমিশনের ভুল না কি অন্য কোনও ত্রুটি, তা নিয়ে ধন্দে খোদ বিএলও।
মঙ্গলবারই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের প্রতিটি বিএলও-র কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই তালিকা। ওই তালিকা হাতে নিয়ে বিএলও-রা দেখছেন, স্থানীয় ভোটারদের নাম রয়েছে কি না। একই কাজ করছিলেন বাঁকুড়া বিধানসভার ৭০ নম্বর বুথের বিএলও জগবন্ধু দে। তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার ভোটার তালিকায় তেমন কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়েনি। কিন্তু বিএলও-র সহোদরেরই নামের পাশে জুড়েছে এক মহিলার ছবি।
জগবন্ধুর দাদার নাম রাজু দে। খসড়া তালিকায় সেই নাম, পিতার নাম, বয়স, লিঙ্গ-সহ অন্যান্য তথ্য যথাযথ থাকলেও মহিলার ছবি কী ভাবে জুড়ল তা নিয়ে বিস্মিত সকলে। বিএলও বলেন, ‘‘দাদা কাজের সূত্রে অন্য জেলায় রয়েছেন। কিন্তু অন্যান্য ভোটারের মতো আমার দাদাও গণনাপত্রে যথাযথ তথ্যের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়েছিলেন। বিএল হিসাবে আমি নিজে সেই সমস্ত তথ্য যাচাই করেছি। নিজের হাতে কমিশনের পোর্টালে ডিজিটাইজ় করেছি। আমি নিশ্চিত, কোনও ভুল হয়নি। তার পরেও খসড়া ভোটার তালিকায় দাদার নামের পাশে কী ভাবে মহিলার ছবি এল, তা সত্যিই জানি না।’’ বিএলও আশঙ্কা করছেন, এই ত্রুটির ফলে তাঁর দাদার ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে কি না। তিনি বলেন, ‘‘আমার দাদাকে আবার সংশোধনী ফর্ম পূরণ করে ছবি সংক্রান্ত ত্রুটি সংশোধন করতে হবে।’’
যাঁর নামের পাশে মহিলার ছবি বসেছে, সেই যুবকের কথায়, ‘‘গত চার-পাঁচটি ভোটে যে ভোটার তালিকার ব্যবহার হয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই আমার নামের পাশে এক মহিলার ছবি দেখেছি। এ বার এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করার পর ভেবেছিলাম সেই ভুল সংশোধিত হবে। কিন্তু তা সে আর হল কই!’’ রাজুর দাবি, কমিশনের ভুলে ত্রুটিমুক্ত হয়নি খসড়া তালিকা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘‘জানি না কী করলে এই ভুল সংশোধন করা সম্ভব হবে।’’